ক্রীড়া প্রতিবেদক
লিটন-হৃদয়ের তাণ্ডবে ফাইনালে কুমিল্লা
রংপুর রাইডার্সের বাধা টপকে প্রথম সুযোগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দশম আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ফাইনালের মঞ্চে সবার আগে পৌঁছাল লিটন দাসের দল। লিটন-হৃদয় মিলে ১৪৩ রানের জুটি গড়ে রংপুরের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন। তাওহীদ হৃদয় ৬৪ রানে ফিরলেও লিটন দলকে জয়ের খুব কাছে রেখে প্যাভিলিয়নে যান, তখন তার নামের পাশে ৮৩ রান।
বিপিএলের ফাইনালে কখনো হারেনি কুমিল্লা। রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে এবার হ্যাটট্রিক শিরোপার দ্বারপ্রান্তে দলটি। টানা তৃতীয় ও সবমিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো ফাইনালের মঞ্চে কুমিল্লা।
১৮৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই সুনীল নারাইনকে হারায় কুমিল্লা। ফজল হক ফারুকির বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। উইকেটের পেছনে থাকা সোহানের আরো একবার বাজপাখি হওয়া। এরপর অবশ্য পাল্টা আক্রমণ চালায় কুমিল্লা। তিনে নামা তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ম্যাচ জয়ের পথটা সহজ করে আসেন লিটন। মাত্র ৮৯ বল খেলে ১৪৩ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন। ২০২৪ বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে তারা রংপুর রাইডার্সকে আটকে দেয় ১৮৫ রানে। জিমি নিশামের ব্যাটে আরো একবার রংপুর রাইডার্সের রক্ষা। ৩১ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে নিশাম রূপ নেন আরো বিধ্বংসী। শেষ বেলায় নিশামকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান করেন দ্রুত ৩০ রান। এদিন লজ্জার এক রেকর্ড গড়েন কুমিল্লার পেসার মুশফিক হাসান, ৪ ওভারে খরচ করেন ৭২। যা বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান খরুচে স্পেল। নিশাম ৯৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। ৪৯ বলের এই ইনিংসে ছক্কার সংখ্যা ৭, বাউন্ডারি হাঁকান ৮টি।
আগের ম্যাচে ৪২ বলে অপরাজিত থাকেন ৬৯ রানের ইনিংসে। আজ কোয়ালিফায়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও জিমি নিশামের জ্বলে ওঠা। একা হাতে শাসন করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপকে। নিশাম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৯৭ রানে। তবে বল হাতে এদিন কুমিল্লার জার্সিতে সবচেয়ে দুর্দান্ত ছিলেন সুনীল নারাইন, ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় নেন ১ উইকেট। অন্যদিকে, পেসার মুশফিক হাসান ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৭২ রান। ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে নিশামের সামনে ২৮ রান খরচ করেন মুশফিক হাসান।
"