নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নিউইয়র্কে বাংলা বইমেলা শুরু ২৪ মে

‘যত বই তত প্রাণ’ স্লোগানে আগামী ২৪ মে থেকে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা। এটি নিউইয়র্কে বাংলা বইমেলার ৩৩তম আসর। ২৪ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এসব কথা বলেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা রোকেয়া হায়দার। তিনি সংগঠনটির চেয়ারপারসন ড. নুরুন নবীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্যে রোকেয়া হায়দার বলেন, ‘যত বই তত প্রাণ’ স্লোগান সামনে রেখে এ বছর বইমেলা আয়োজন করা হচ্ছে। এবারের বইমেলায় বাংলাদেশ থেকে ২৫টির মতো প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে। এর পাশাপাশি কলকাতা থেকে পাঁচটি এবং নিউইয়র্কসহ আমেরিকা ও কানাডা থেকে ১০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেবে।

অর্থাৎ এই তিনটি দেশ থেকে ৪০টির প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করবে। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২০টির অধিক রাজ্য থেকে এবং কানাডা, জার্মান, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন ও জাপান থেকে শতাধিক লেখক-সাহিত্যিক এই মেলায় অংশগ্রহণ করবেন। তিনি আরো বলেন, ‘এই বইমেলায় আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন সাংবাদিক ও লেখক হাসান ফেরদৌস। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান হবে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।

সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে থাকছে বিশেষ আলোচনা। অভিবাসীদের জীবনচরিত নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং অর্ধশতাধিক লেখকের নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও বই পরিচিতিমূলক অনুষ্ঠান থাকবে। বইমেলার চার দিনই থাকবে বিভিন্ন পর্বে আমেরিকায় বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান। উত্তর আমেরিকার ১৫টির বেশি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন কার্যকরী সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার সিগনেচার অনুষ্ঠানে লেখক-পাঠক মুখোমুখিও থাকছে।

রোকেয়া হায়দার বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও দেওয়া হবে মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার। এ পুরস্কারের অর্থমান তিন হাজার ইউএস ডলার। অভিবাসী নতুন লেখকদের প্রকাশিত গ্রন্থ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হবে শহীদ কাদরী গ্রন্থ পুরস্কার। অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা সংস্থা থেকে বিজয়ী শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা সংস্থাকে পুরস্কৃত করা হবে চিত্তরঞ্জন সাহা সেরা প্রকাশনা সংস্থা পুরস্কার।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন বলেন, ‘নিউইয়র্কের বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের কাছে দ্বিতীয় বইমেলা। বাংলা একাডেমির আয়োজিত বইমেলার পরে নিউইয়র্কের বইমেলা ৩৩ বছর ধরে আরেকটি গৌরব অর্জন করেছে। এটা বাঙালির জন্য একটি বিশাল ব্যাপ্তি। মুক্তধারার এই অবদান সফল হবে। বাঙালি তার ধারাই এগিয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বলেন, ‘মায়ের ভাষার জন্য জীবন দিল যারা তারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম শহীদ। তারা বাংলা ভাষা উচ্চারণ করে বাঙালি হিসেবে পরিচিত হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশন প্রধান উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখড়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি আলমগীর শিকদার লোটন, সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ, অনিন্দ্য প্রকাশনীর প্রকাশক দেলোয়ার হোসেন, অনন্যা প্রকাশনীর প্রকাশক মনিরুল হক ও কবি সৈয়দ আল ফারুকসহ প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close