আরিফ খান, বেড়া-সাঁথিয়া (পাবনা)

  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সাঁথিয়ায় কাকেশ্বরী নদী

হাতে হাতে সাফ কচুরিপানা

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পুন্ডুরিয়া কাকেশ্বরী নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেছে ‘পুন্ডুরিয়া শান্তি সংঘ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন। ‘নিয়েছি শপথ গড়ব দেশ, পরিষ্কার রাখব বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পরিবেশ ও সচেতনতার অংশ হিসেবে দুই কিলোমিটার বিস্তৃত কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ নেয় ‘পুন্ডুরিয়া শান্তি সংঘ’। উদ্বোধনের প্রথম দিনেই প্রায় আধা কিলোমিটার কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়।

প্রতি বছর বর্ষা পরবর্তী সময় কাকেশ্বরী নদীতে প্রচুর কচুরিপানা জমে। এতে নদীর পানি ব্যবহার করা যায় না, মাছ মারতে পারে না স্থানীয়রা। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এ কারণে গতকাল শুক্রবার সকালে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তারা নদীর কচুরিপানা পরিষ্কারের কাজ শুরু করা হয়।

সংগঠনটির ডাকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কচুরিপানা অপসারণে ঝাঁপিয়ে পড়েন পুন্ডুরিয়া গ্রামের ছাত্র-শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের প্রায় ২০০ মানুষ। কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে করমজা ইউপ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী বাগচীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ডে গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ এম এ ওহাব বাগচী। আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের, সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, সমাজসেবক মনসুর হোসেন, করমজা ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. ফারুক হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য রজব আলী মুন্সীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে ডে গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ এম এ ওহাব বাগচী জানান, পুন্ডুরিয়া কাকেশ্বরী নদীর দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যেভাবে কচুরিপানা আটকে ছিল তা এলাকাবাসীর জন্য দুর্যোগে পরিণত হয়েছিল। তাই দল-মত-নির্বিশেষে স্বেচ্ছাশ্রমে সবাই একযোগে কচুরিপানা অপসারণে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। পরে আর যাতে কচুরিপানা জমতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। প্রতিটি ভালো কাজের সঙ্গে থেকে আমি আছি সব সময় থাকব।

সংগঠনটির পরিচালক জহুরুল ইসলাম পাপ্পি জানান, আমরা অতীতে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছি তাই পরিবেশ ও সচেতনতার অংশ হিসেবে আমরা আমাদের গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কাকেশ্বরী নদীতে সাত দিনব্যাপী কচুরিপানা পরিষ্কারের কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছি। নদীর দুইপাড়ে প্রায় ১২ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস দরিদ্র অধিকাংশ মানুষ নদী থেকে মাছ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়া দৈনন্দিন কাজে এই নদীর পানি ব্যবহার করে থাকি। এখন থেকেই যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে অন্য সব নদীর মতোই এই নদীও হারিয়ে যাবে, যা আমরা চাই না। আমরা পুন্ডুরিয়া শান্তি সংঘ এই নদীর পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close