যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাতি জ্বালিয়ে রাখার দায়িত্ব নবীনদের। তারা জ্বালিয়ে রাখবেন বিদ্যার বাতি।

যবিপ্রবির এ্যাগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি) বিভাগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অ্যাকাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে গতকাল সোমবার সকালে আয়োজিত নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই শিক্ষার্থীদের ও বিভাগের একমাত্র পিএইচডি অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়া বিদায়ি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক ও নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

বিভাগটির কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব তুলে ধরে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য উৎপাদনের পর সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারায় প্রায় ৩০ শতাংশ খাদ্য নষ্ট হয়ে যায়। এপিপিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা উন্নতমানের টেকনোলজি ব্যবহার করে আগামীতে খাদ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে- এটাই প্রত্যাশা। তিনি বিদায়ি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করা করা যায়, বের হওয়া যায় না। উন্নত বিশ্বে অ্যালামনাইরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তোমরা এতদিন এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক কিছু নিয়েছ, এখন তোমাদের দেওয়ার সময় হয়েছে। অ্যালামনাই শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার সবসময় খোলা থাকবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এপিপিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। এতে বক্তব্য দেন ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড. সেলিনা আক্তার, সহকারী অধ্যাপক মো. সুমন রানা, যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানা, বিদায়ি শিক্ষার্থী বিক্রম জিৎ বিশ্বাস, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইফতেখার মাহমুদ লাবিব, আফসারা তাসনিম শিলা প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক এস এম সামিউল আলম। পরে বিভাগটির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

"