নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনার ডাটা ব্যাংক চালুর দাবি

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল রবিবার সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, ইসরায়েল-হামাস ভয়াবহ যুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২৮ হাজার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে প্রাণহানি ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের। এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৫৮ হাজার। আর দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছে আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষ।

তিনি বলেন, সড়কের দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখলে মনে হয়- দেশের সড়কে একটি ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। আমাদের সীমিত সামর্থ্যরে কারণে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার ডাটাবেজ সংগ্রহ সম্ভব হয় না। তাই সংবাদপত্র তথা সেকেন্ডারি উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করছি। ফলে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র আমাদের প্রতিবেদনে উঠে আসে না।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আমরা মনে করি, দেশের গণমাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত স্থান পায়। সব সংবাদপত্র আমরা মনিটরিং করতে পারি না, তাই ২০ থেকে ২৫ শতাংশের চিত্র তুলে ধরতে পারি। বিআরটিএ এই সেকেন্ডারি সোর্সের তথ্যকে অতিরঞ্জিত বলে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রাথমিক উৎসগুলোয় সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত অবস্থা কি বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে সত্যতা কি, তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করছে না।

মোজাম্মেল হক বলেন, সরকারের কাছে সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক চিত্র পৌঁছায় না। এ কারণে সরকার সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারছে না। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারসহ সবাইকে মানবিক ও উপলব্ধির জায়গা থেকে একত্রিত হওয়া দরকার।

সভায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এ সময় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কিছু এজেন্ডা হাতে নেওয়ার দিকে গুরত্বারোপ করে কিছু দাবি উপস্থাপন করেন-

১. রোড গভর্নেন্স বা সড়কে শাসন নিশ্চিত করা।

২. তথ্য ব্যাংক যথাযথভাবে নিশ্চিত করা।

৩. ক্ষতিপূরণ।

৪. সবার নিরাপত্তা সচেতনতা।

৫. সাধারণ মানুষের সহায়তা সুনির্দিষ্টভাবে গড়ে তোলা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close