নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নিরাপদ পিঠার হাট

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজন করা হয় সেফ ফুড কার্নিভাল। তিন দিনব্যাপী এ মেলার শেষ দিনে গতকাল শনিবার বসে নিরাপদ পিঠার হাট। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ফুলঝুড়ি, দুধপুলি, সেমাই পিঠা, বিবিখানা, নারিকেল পুলি, ক্ষীর সেমাই, চিকেন বিং, ঝাল চিংড়ি পিঠা, শাহী ভাপা, ডিম সুন্দরী, ডাল সুন্দরী, পাটিসাপটা, তেলে ভাজা, ডিমের পানতোয়া, ধুপাই, নকশী, জামাই, গোলাপ, মাংস পুলি, চুই পিঠা, মালাই পিঠা, নোনতা ভাপা পিঠা, চুষি পিঠাসহ নাম না জানা অসংখ্য পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন উদ্যোক্তারা।

উৎসবে অংশ নেওয়াদের মধ্যে কেউ উপস্থাপন করছেন গোপালগঞ্জের তক্তিকে, কেউ নিয়ে এসেছেন টাঙ্গাইলের পিঠা, কেউ আবার উপস্থাপন করছেন নোয়াখালীর খোলা জালি পিঠা, কেউ কেউ আবার নিজের এলাকা ছাড়িয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন ভিন্ন কোনো এলাকাকেও। সাভারের চুষি পিঠা কিংবা গাজীপুরের চুই পিঠাসহ অন্তত ৪০ প্রকারের পিঠা নিয়ে এতে অংশগ্রহণ করেছেন অর্ধ শতাধিক উদ্যোক্তা।

আয়োজকরা বলছেন, বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠাপুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। পিঠাণ্ডপায়েস সাধারণত শীতকালের রসনা জাতীয় খাবার হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত এবং মুখরোচক খাদ্য হিসেবে বাঙালি সমাজে আদরণীয়। আত্মীয়স্বজন ও পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধন আরো দৃঢ় ও মজবুত করে তুলতে পিঠাপুলির উৎসব বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে পিঠাণ্ডপায়েস তৈরির ধুম শীতকালেই বেশি পড়ে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত সেফ ফুড কার্নিভালের তৃতীয় দিনে আয়োজিত হয় পিঠা প্রতিযোগিতারও। পিঠা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন মেরিনা সুলতানা, দ্বিতীয় হয়েছেন শারমিনা জেসমিন তুলি ও তৃতীয় হয়েছেন নুসরাত জাহান। সেফ ফুড কার্নিভাল আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বিএফএসএ সচিব আবদুন নাসের খান বলেন, পিঠা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্য। যথাযথ খাদ্যের নিরাপত্তা মেনে এ ঐতিহ্যকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই মূলত আমাদের এ আয়োজন। অংশগ্রহণকারীরা যেভাবে নিরাপত্তা মেনে পিঠা প্রস্তুত ও পরিবেশন করছেন, দেখে ভালো লেগেছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এ আয়োজনে বিচারক ছিলেন খাদ্যমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন, রন্ধনশিল্পী ও লেখক হাসিনা আনছার এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রেবেকা খান। নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা তৈয়বা আক্তার বলেন, কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। আমরা চাইব প্রতি বছর যাতে এমন আয়োজন করা হয়। এতে করে দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পিঠা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন মেরিনা সুলতানা, দ্বিতীয় হয়েছেন শারমিনা জেসমিন তুলি এবং তৃতীয় হয়েছেন নুসরাত জাহান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close