ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ভৈরবে লাভবান স্কুলশিক্ষক শাহিন

শহিদুল ইসলাম শাহিন পেশায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একজন সফল কৃষকও। এ বছর তিনি রঙিন ফুলকপি চাষ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার জমিতে হলুদ বেগুনি রংয়ের ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই আসছেন উৎসুক মানুষ। তার দেখাদেখি এলাকার কৃষকরা রঙিন ফুলকপি চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম।

ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদা ইউনিয়নের আদর্শপাড়া গ্রামের সহিদুল ইসলাম শাহিন তার ১৭ শতক জমিতে এবার আবাদ করেছেন হলুদ আর বেগুনি রংয়ের ফুলকপি। ফলন আসা পর্যন্ত খরচ হয়েছে তার ১০ হাজার টাকা। চারা রোপণের ৭৫ দিনের মাথায় বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠেছে এ ফুলকপি। এ কৃষক এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। যে পরিমাণ ফুলকপি জমিতে রয়েছে সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন আরো ১ লাখ টাকার মতো।

এ কপি চাষে রাসায়নিক সার ও ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার না করায় এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ। এলাকাতে নতুন ফসল হওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই এটার চাহিদা অনেক বেশি। এ ফুলকপিগুলো তার জমি থেকেই বেশির ভাগ বিক্রি হচ্ছে।

ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, সহিদুল ইসলাম শাহিন একজন শিক্ষক হয়েও তার নিজের জমিতে সব সময় উন্নতজাতের কিছু একটা সবজি চাষ করে থাকেন। গত বছর তিনি ক্যাপসিকাম চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এবার তিনি প্রথম বারের মতো আবাদ করেছেন হলুদ আর বেগুনি রংয়ের ফুলকপি। অন্য ফুলকপির তুলনায় এগুলো কালার ফুল হওয়াতে মানুষের কাছে এটা খুব আকর্ষণী এবং বাজারে এর চাহিদাও খুব বেশি। এ ফুলকপি পুষ্টিগুণ মানসম্মত হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ফুলকপি চাষাবাদে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠছে। আমরা আশা করছি আগামী রবি মৌসুমে এর আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close