নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পবিত্র শবেমেরাজ পালিত

জিকির-আসকার, ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেমেরাজ পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল রজব মাসের ২৬ তারিখ, পবিত্র শবেমেরাজ বা লাইলাতুল মেরাজ। এ উপলক্ষে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে শবেমেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এ ছাড়া দেশের সব মসজিদে মুসল্লিরা ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন। এই পবিত্র রজনীর তৎপর্য তুলে ধরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়ায় ইসলামি মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

লায়লাতুল মেরাজ বা শবেমেরাজ প্রিয়নবী (সা.)-এর মেরাজের স্মৃতির সঙ্গে জড়িত। নবুওয়াত লাভের একাদশ বর্ষের রজবের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে হজরত মুহাম্মদ (সা.) জিবরাইলের (আ.) সঙ্গে পবিত্র কাবা থেকে ভূমধ্যসাগরের পূর্বতীর ফিলিস্তিনে অবস্থিত পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের ওপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে ৭০ হাজার নুরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সব কিছুর অপার রহস্য।

ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফরকে ‘ইসরা’ এবং মসজিদুল আকসা থেকে সাত আসমান পেরিয়ে আরশে আজিম সফরকে ‘মিরাজ’ বলা হয়। ইতিহাসের নিরিখে নবুওয়াতের দশম বছর ৬২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ রজব দিবাগত রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে মিরাজ গমন করেন। পবিত্র কোরআনের সুরা বনি ইসরায়েল ও সুরা নজমের আয়াতে, তাফসিরে এবং সব হাদিস গ্রন্থে মিরাজের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে।

সেদিন রাতে মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে বোরাক নামের বিশেষ বাহনে করে বাইতুল মোকাদ্দাসে যান মহানবী (সা.)। সেখানে নবী-রাসুলদের সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ পড়ে তিনি সাত আসমান অতিক্রম করেন। সেখানে তার সঙ্গে বিভিন্ন নবীর দেখা হয়। সিদরাতুল মুনতাহার আগপর্যন্ত তার সঙ্গে ছিলেন জিবরাইল (আ.)। এরপর মহানবী (সা.) জান্নাত, জাহান্নাম ও আরশসহ সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close