নিজস্ব প্রতিবেদক
ইশতেহারে নিরাপদ সড়কের অঙ্গীকার চায় যাত্রী কল্যাণ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে ‘নিরাপদ সড়ক ও স্মার্ট গণপরিবহন’ ব্যবস্থা গড়ে তোলার অঙ্গীকার রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বিষয়টিকে জরুরি মন্তব্য করে সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছেন, প্রত্যেক সংসদ সদস্য প্রার্থী তাদের নিজ নিজ এলাকায় গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে, ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে কী কী পদক্ষেপ নেবেন তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে আলাদা আলাদাভাবে তুলে ধরবেন।
ঢাকায় ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলয়াতনে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ সড়কের অঙ্গীকার করলেও নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে অগ্রগতি তেমন দৃশ্যমান নয়। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ভাষ্য মতে সড়কে এখনো পাখির মতো, মাছির মতো, মানুষ মরছে।
সড়কে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ করে মোজাম্মেল হক বলেন, যানজটে মানুষের সময় নষ্ট হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্য, গণপরিবহনগুলো ‘মুড়ির টিন’ বানিয়ে ইচ্ছা মতো যাত্রী হয়রানি চলছে। ভয়াবহ বায়ুদূষণ ও ধুলো-দূষণের শিকার হচ্ছে নগরবাসী। যাত্রী ও নাগরিক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে চালু হওয়া বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা নগর পরিবহন নামে কয়েকটি রুটে বাস সার্ভিস চালু করা হলেও তা মুখথুবড়ে পড়েছে। সদরঘাট থেকে গাবতলীর আমিনবাজার পর্যন্ত ওয়াটার বাস সার্ভিস চালু করা হলেও তা কার্যকর হয়নি।
সরকার বাস মালিক, শ্রমিকের স্বার্থগুলো অগ্রাধিকার দিচ্ছে মন্তব্য করে মোজাম্মেল হক বলেন, সাধারণ মানুষ এখন লক্কড়ঝক্কড় বাস মালিকদের ইচ্ছার কাছে জিম্মি হয়ে আছে। তারা ইজ্জত ও মর্যাদা নিয়ে এসব পরিবহনে যাতায়াত করতে পারছে না। গণপরিবহনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সব ফোরামে মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনগুলো রাখা হলেও যাত্রী প্রতিনিধি রাখা হয় না। ফলে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা আজ বেপরোয়া।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।
"