অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
সেরা প্রতিষ্ঠানের বৈশ্বিক স্বীকৃতি সোনালী লাইফের
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে সবচেয়ে কম সময়ে দাবি পরিশোধ- এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করেছে চতুর্থ প্রজন্মের জীবন বিমা প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির দিকেও এগিয়ে চলেছে দুরন্তগতিতে। এবার সফলতার পথ ধরে ২০২৩ সালে ৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার ১৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছে শতভাগ প্রযুক্তিসম্পন্ন দেশের একমাত্র এ জীবন বিমা প্রতিষ্ঠানটি। দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ছড়িয়েছে সোনালী লাইফের সুনাম, যা দেশের পিছিয়ে পড়া বিমা খাতের জন্য একটি উদাহরণই বটে!
জানা গেছে, সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটি ৫ ক্যাটাগরিতে ‘সাউথ এশিয়ান বিজনেস অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ অর্জন করে। মালদ্বীপের রাজধানী মালে’তে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের সিইও মীর রাশেদ বিন আমানের হাতে এ সম্মাননা ও পুরস্কার তুলে দেয় আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা ৪টি এবং ব্যক্তিগত ১টি। এ সব ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে- বেসরকারি খাতে সেরা বিমা কোম্পানি, বিমা খাতে মোবাইল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, বর্ষসেরা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, বর্ষসেরা টেকসই বিমা কোম্পানি, বিমা খাতের তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার প্রমুখ।
এর আগে ২৩ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৩টি ক্যাটাগরিতে ৪র্থ আইসিসি ইমার্জিং এশিয়া ইনস্যুরেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ অর্জন করে এ জীবন বিমা প্রতিষ্ঠানটি। ভারতের মুম্বাইয়ে তাজ ল্যান্ডস অ্যান্ড হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৪র্থ প্রজন্মের বিমা প্রতিষ্ঠানকে এ সম্মাননায় ভূষিত করে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)। ইনস্যুরেন্স ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সোনালী লাইফ সূত্রে জানা যায়, দেশের আরো কয়েকটি বিমা কোম্পানি এ সম্মাননা পেলেও সবচেয়ে বেশি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। যে সব ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে সেগুলো হলো- দেশের সেরা উদ্ভাবনী ও বৈচিত্র্যময় বিমা প্রতিষ্ঠান, সেরা জীবন বিমা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশের সেরা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় কৌশলগত বিমা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সেরা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশলে রানারআপ হলেও উদ্ভাবনী-বৈচিত্র্য ও সেরা জীবন বিমায় বিজয়ী হয় কোম্পানিটি। বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার এ সম্মানীয় পুরস্কার ইমার্জিং এশিয়া ইনস্যুরেন্স আরো যারা পেয়েছে তারা হলো- ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স ও নিটল ইনস্যুরেন্স।
তারও আগে চলতি বছরের ২৭ জুলাই ৬টি ক্যাটাগরিতে অপর আন্তর্জাতিক সম্মাননা ‘কমনওয়েলথ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ অর্জন করে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৪টি ক্যাটাগরিতে সোনালী লাইফ এবং ব্যক্তিগতভাবে সিইও রাশেদ বিন আমান ২টি ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা অর্জন করেন। এছাড়াও বিগত কয়েক বছর যাবত প্রযুক্তির ব্যবহার, গ্রাহক সেবা, শ্রেষ্ঠ নেতৃত্বসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করে সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স।
তবে প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএর স্বীকৃতিকে মনে করা হয়। ২০১৭ সালে ১৭ আগস্ট আইডিআরএ থেকে চিঠি ইস্যু করে বাংলাদেশের সব কোম্পানিকে সোনালী লাইফের মতো প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা জানায়, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমানের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও দৃঢ় নেতৃত্বে গতিশীলতার সঙ্গে ব্যবসায় অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও গ্রাহকদের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে পরিচালনা পর্ষদের বাস্তবমুখী নির্দেশনায় গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। প্রতিষ্ঠার মাত্র এক দশকেই অনেক বড় বড় জীবন বিমা প্রতিষ্ঠানকে পেছনে ফেলে। প্রিমিয়াম অর্জন, কম ব্যবস্থাপনা ব্যয়, দাবি পরিশোধ, জীবন বিমা তহবিল ও সম্পদ বৃদ্ধির সামগ্রিক পরিসংখ্যানে শীর্ষ ৫ নাম্বারে উঠে আসে সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স।
"