সিলেট প্রতিনিধি

  ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

কেন্দ্রে ভোটার টানতে কাউন্সিলরদের দ্বারস্থ মোমেন

বিএনপি ও সমমনাদের ভোট বর্জনের মুখে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সহযোগিতা চেয়েছেন সিলেট-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়ের হাফিজ কমপ্লেক্সে শনিবার সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেট মহানগরের ভোটারের কাছে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাদের সুখে-দুঃখে আপনারা সবসময় পাশে থাকেন। সেই সঙ্গে সরকারের মাঠ পর্যায়ের সেবা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হয়। তাই ভোটারদের নির্বাচনমুখী করতে কাউন্সিলরদের বিকল্প নেই।

সভায় সিটি মেয়র মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে করপোরেশনের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা অংশ নেন।

মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ তোফায়েল আহমদ সেপুল, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুর রকিব বাবলু, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শান্তুনু দত্ত সনতু, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ছয়ফুল আহমদ বাকের। ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. তৌফিক বক্স, ৩১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজমুল হোসেন, ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমেদ ও ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমও এ সময় বক্তব্য দেন।

সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের মধ্যে ছিলেন সালমা সুলতানা, নার্গিস সুলতানা, মোছা. হাজেরা বেগম, বাবলী আক্তার, ফাতেমা বেগম, নারগিস সুলতানা রুমি, রেবেকা বেগম, শাহানা বেগম শানু, রুহেনা খানম মুক্তা।

বিএনপি না থাকলেও এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের মনোনয়নপত্র জমার ঘটনায় আছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস।

অন্য প্রার্থীরা হলেন সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের আবদুল বাসিত, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইউসুফ আহমদ, জাকের পার্টির মো. আবদুল হান্নান, ইসলামী ঐক্যজোটর ফয়জুল হক ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ সোহেল আহমদ চৌধুরী। এসব মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, আপিল ও প্রত্যাহারের সময় শেষে ১৭ ডিসেম্বর জানা যাবে কারা লড়াই করবেন আসনটিতে।

সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিষয়ে কিছু বলেননি নৌকার মাঝি মোমেন। তিনি বলেন, সিলেট-১ একটি মর্যাদাপূর্ণ আসন। তাই এ আসনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিলেটের উন্নয়নের চিত্রও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছর সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটি আওয়ামী লীগের ছিল না। কিন্তু উন্নয়ন বরাদ্দ বিন্দুমাত্র কম দেয়নি সরকার। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেশ-জনগণই মুখ্য, অন্য কিছু নয়।

কাউন্সিলররা নির্বাচনে বিজয় সুনিশ্চিত করতে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা ও ভোটারদের নির্বাচনমুখী করার বিভিন্ন পরিকল্পনা ও সুপারিশ করেন। নির্বাচনে সব ধরনের সহযোগিতা করারও অঙ্গীকার করেন তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close