বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আজ বৃহস্পতিবার নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর সেখান থেকে হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এ কথা জানিয়েছে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম হবে ‘মিগজাউম’। এটি মিয়ানমারের দেওয়া নাম। তবে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, তা স্পষ্ট হবে আজ। এটি বাংলাদেশের দিকে আসবে কি না, তাও নিশ্চিত নয়।

দেশে চলতি বছর এ পর্যন্ত তিনটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। গত ১৪ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ঘূর্ণিঝড়টি ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশ উপকূল পেরিয়ে যায়। গত ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে প্রাণহানি এবং বসতবাড়িসহ ফসলও নষ্ট হয়। এরপর ১৭ নভেম্বর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এ ঝড়ে দেশের ১৩ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের কথা বলা হচ্ছে।

গতকাল বুুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় আছে লঘুচাপটি। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি কাল নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এটি ঘূর্ণিঝড়েও পরিণত হতে পারে। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়।

বজলুর রশীদ বলেন, এ ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের দিকে আসবে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের দিকে আসতে পারে। আবার বাংলাদেশের দিকে আসার আশঙ্কাও আছে কিছুটা। বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।

"