শাকিল বাবু, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

  ৩০ নভেম্বর, ২০২২

আনন্দময় তিনটি দিন

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশে রয়েছে হাজারও পর্যটন কেন্দ্র। তবে নদীমাতৃক এই দেশে নদীর পাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে মানুষ ভালোবাসে। কিন্তু যদি হয় আরো সমুদ্রসৈকত তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আর এই সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য দেখতে গিয়েছিলেন ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নজরুল ভাস্কর্য সংলগ্ন স্থান থেকে শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে শিক্ষার্থীরা বাসে করে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. রাকিবুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয় বর্ষের ‘রুরাল ডেভেলপমেন্ট’ কোর্সের ফিল্ড ট্যুরের উদ্দেশেই ছিল শিক্ষার্থীদের এই যাত্রা।

প্রায় ১১ ঘণ্টা বাস ভ্রমণ শেষে সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার ‘কলাপাড়া সি বিচে’ পৌঁছান শিক্ষার্থীরা। এরপর ‘ওয়ার্ল্ড সি বিচ’ নামে রিসোর্টে চেক ইন করার পর সবাই সমুদ্রসৈকতের পাড়ে যায়। সমুদ্রের ঢেউয়ের স্রোতের কলকলানি, পাখির কিচিরমিচির শব্দ যেন হৃদয়কে পুলকিত করে তোলে। সমুদ্রের লোনা পানিতে ঢেউয়ের সঙ্গে অনেকক্ষণ শরীর দুলিয়ে গোসল করে তারা। সন্ধ্যার আগের লাল আভা সূর্য দেখার জন্য সবাই সৈকতে যান। আর বড় আকৃতির রক্তিম সুর্য অস্ত যাওয়া উপভোগ করেন। এরপর সবাই হোটেলে ফেরত যান। হোটেলে রাত্রি যাপন করে ২৮ নভেম্বর সকালে রওনা হন বান্দরবানের উদ্দেশে। বান্দরবানে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তার চারপাশের পরিবেশ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। প্রকৃতির যে অপরূপ সৌন্দর্য রয়েছে তা বান্দরবানে এসে উপলব্ধি করেন তারা। বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মানুষের ভিড় বলে দেয় এখানের সৌন্দর্যের কথা। এখানে অনেক উঁচু উঁচু পাহাড়ের সমারোহ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর ছেলেমেয়েরা তাদের ‘রুরাল ডেভেলপমেন্ট’ কোর্সের আন্ডারে ফিল্ড ভিজিটে যায়। আমরা চেষ্টা করি বিভিন্ন জায়গায় যে ‘প্লেস বেইজড ডেভেলপমেন্ট’ হচ্ছে, সেগুলো সম্পর্কে ছেলেমেয়েদের ধারণা দেওয়ার জন্য। পর্যটন শহর কক্সবাজারে সমুদ্রসৈকতকে ঘিরে যে ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে, সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্যই শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছেলেমেয়েদের অনেকেই প্রথমবারের মতো সমুদ্র দেখছে। তাদের যে উল্লাস, যে অনুভূতি, যে অবাক বিস্ময়কর দৃষ্টি তা আমাকে প্রচুর আনন্দ দিয়েছে। আমি তাদের সাফল্য কামনা করি। আমি চাই যে, তারা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করুক। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তারা অনেক দূর এগিয়ে যাক।

স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী সিফাত তাসনিম মিতু বলেন, ‘আমি প্রথম এত সুন্দর একটি জায়গায় এসেছি। আমার সারা দিনেও মন ভরেনি সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন শুনে। আমি আবার আসতে চাই এই সমুদ্রসৈকতে। আপন মনে খানিকটা সময় নিজের করে নিয়ে এই সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close