reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ মে, ২০২৪

হায়দরাবাদকে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা জয় কলকাতার

আইপিএলের ১৭তম আসরের ফাইনালে হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা। ছবি : সংগৃহীত

পুরো মৌসুম দুর্দান্ত ব্যাটিং করা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ফাইনাল ম্যাচে ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারল না। বোলিংয়েও সেই একই চিত্র প্যাট কামিন্সদের। ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং রহমানউল্লাহ গুরবাজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে কামিন্স-ভুবনেশ্বর কুমারদের। আর তাতে হায়দরাবাদকে উড়িয়ে তৃতীয়বারের মতো আইপিএলের শিরোপা জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

রোববার (২৬ মে) চেন্নাইয়ের চিপাক স্টেডিয়ামে আইপিএলের ১৭তম আসরের ফাইনালে হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা। হায়দরাবাদের দেয়া ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ বল হাতে রেখে জিতেছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল। আইপিএলে এটি কলকাতার তৃতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। ১০ বছর পর এবার শিরোপা জিতল কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

হায়দরাবাদের দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে একটু হোঁচট খেয়েছিল কলকাতা। দলীয় ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত ব্যাট করা সুনীল নারিন। তবে তাতে কোনো চাপ আসেনি কলকাতার ওপর। তিনে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তাকে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দ্বিতীয় উইকেটে গুরবাজ-ভেঙ্কটেশ মিলে গড়েন ৯১ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় কলকাতা। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ বলে ৩৯ রান করে শাহবাজ আহমেদের বলে আউট হন গুরবাজ। কলকাতা তখন জয় থেকে মাত্র ১২ রান দূরে। ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আইয়ার এবং ভেঙ্কটেশ। ৩ বলে ৬ রান করেছেন শ্রেয়াস। ভেঙ্কটেশ খেলেছেন ঝড়ো ইনিংস। ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৫২ রান করেছেন এই ব্যাটার।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে শক্তিশালী হায়দরাবাদ প্রত্যাশিতভাবেই আগে ব্যাটিং নেয়। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের শক্তিশালী বোলিং লাইনের সামনে এদিন ব্যর্থ হয়েছে দলটির টপ অর্ডার। মৌসুমের শেষদিকে ছন্দে ফেরা মিচেল স্টার্ক ম্যাচের শুরুতেই বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন। হারশিত রানা এবং বৈভব অরোরাও তাকে সঙ্গ দেন ভালোভাবে। হায়দরাবাদের পতনের শুরুটা স্টার্ককে দিয়ে। দারুণ ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মাকে প্রথম ওভারেই বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান অজি এই পেসার। দ্বিতীয় ওভারে ট্রাভিস হেড ফেরেন বৈভব অরোরার শিকার হয়ে।

আগের ম্যাচে ঝড়ো ব্যাটিং করা রাহুল ত্রিপাঠিও এদিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। ১৩ বলে ৯ রান করে ফেরেন স্টার্কের বলে আউট হয়ে। চতুর্থ উইকেটে নিতিশ কুমার রেড্ডি এবং এইডেন মার্করাম মিলে গড়েন ২৬ রানের জুটি। তবে সেই জুটি ভেঙে আবারও হায়দরাবাদকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন হারশিত রানা। মার্করামও হাল ধরতে পারেননি দলের। দলীয় ৬২ রানে ২৩ বলে ২০ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হন তিনি। পরের ওভারে শাহবাজ আহমেদকে আউট করেন বরুণ চক্রবর্তী।

শাহবাজ আউট হওয়ার পর ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামেন আব্দুল সামাদ। তবে তিনিও কোনো প্রভাব রাখতে পারেননি। মাত্র ৪ রান করে রাসেলের বলে গুরবাজের কাছে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে কোনো পার্থক্য গড়ে দিতে পারেননি হেনরিখ ক্লাসেনও। ১৭ বলে ১৬ রান করে হারশিত রানার বলে বোল্ড হন তিনি। ৯০ রানে ৮ উইকেট হারানো দলের হয়ে শেষদিকে ১৯ বলে ২৪ রান করেন অধিনায়ক কামিন্স। হায়দরাবাদের আজকের ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। তবে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি তিনি। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে রাসেলকে লং অন দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন কামিন্স। তার দল থামে ১১৩ রানে।

আইপিএলের শুরুর দিকে ফর্মে না থাকা স্টার্ক শেষের দিকে দারুণভাবে কামব্যাক করেছেন। ফাইনালেও করেছেন আগুনঝরা বোলিং। ৩ ওভার বোলিং করে ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। হারশিত রানাও নিয়েছেন ২ উইকেট। ২ ওভার ৩ বল বোলিং করে ৩ উইকেট নিয়েছেন রাসেল।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ,কলকাতা নাইট রাইডার্স,আইপিএল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close