২০০ মিটারে রেকর্ডসহ চার স্বর্ণ জিতলেন শিরিন আক্তার
জাতীয় অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দিনে ১০০ মিটারে স্বর্ণ জিতে ১৫ বারের মতো দেশের দ্রুততম মানবী হয়েছিলেন শিরিন আক্তার।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই নারী অ্যাথলেট শনিবার দ্বিতীয় ও শেষ দিনে জিতলেন আরও তিনটি স্বর্ণ। এর মধ্যে ২০০ মিটারে স্বর্ণ ধরে রেখেছেন নিজের রেকর্ড ভেঙে। শেষ দিনে তিনি অন্য দুই স্বর্ণ জিতেছেন ১০০ ও ৪০০ মিটার রিলেতে।
২০০ মিটারে শিরিন আক্তার ২৪.৬৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে জাতীয় রেকর্ড গড়েন। ২০২১ সালে তার করা রেকর্ডে টাইমিং ছিল ২৪.৯৭ সেকেন্ড। ২০০ মিটারে রৌপ্য জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শরিফা খাতুন। তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহনীর কবিতা রায়। তিনি সময় নিয়েছেন ২৬.২৫ সেকেন্ড।
ছেলেদের ২০০ মিটারে স্বর্ণ নিজের কাছেই রেখেছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জহির রায়হান। ২১.৫২ সেকেন্ড সময় নিয়ে তিনি হারিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাসুম মিয়াকে। মাসুম সময় নিয়েছেন ২২.০০ সেকেন্ড।
১০০ মিটার রিলেতে শিরিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্বর্ণ জিতেছে ৪৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে। শিরিনের রিলেতে দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)।
ছেলেদের উচ্চলম্ফে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী মাহফুজুর রহমান। ২ মিটার লাফিয়েছেন তিনি। রৌপ্য জেতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্বপন বিশ্বাস লাফিয়েছেন ১.৯৫ মিটার।
মেয়েদের উচ্চলম্ফে নতুন রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রিতু আক্তার। ১.৭৬ মিটার লাফিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন তিনি। একই প্রতিষ্ঠানের উম্মে হাফসা রুমকী ১.৬৫ মিটার লাফিয়ে রৌপ্য জিতেছেন।
চার স্বর্ণ জিতে এবারের চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করার পর শিরিন আক্তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘এ অনুভূতি কখনই বোঝানোর মতো নয়। সব মানুষেরই নিজস্ব যে অনুভূতি থাকে। অনেক অসাধারণ কিছু থাকে, অনেক গল্প থাকে পেছনে, কষ্টও থাকে। বাধাও থাকে। আমার কোচ আব্দুল্লাহ হেল কাফি, বিকেএসপি, বাংলাদেশ নৌবাহিনী আমাকে অসাধারণ সহযোগিতা করেছেন।’
চারটা ইভেন্টে অংশ নিয়ে চারটিতেই স্বর্ণ। তাও এ বয়সে! শিরিন বললেন, ‘আসলে বয়স বলতে কিছু নেই। ২০১৩ থেকে আমি সিনিয়র খেলি। ক্লাস সেভেন থেকে আমি দ্রুততম বালিকা, দ্রুত কিশোরী হয়েছি। দ্রুততম মানবী হয়েছি, যেটা এবার ১৫তম বারে এসে দাঁড়াল। ২০০ মিটারের রেকর্ডটিও আমার ছিল (২৪.৯৭)। সেটি আবার নতুন করে মজবুত করতে পেরেছি, নতুন রেকর্ড গড়তে পেরেছি। এটা অবশ্যই অসাধরণ। কোচ আমার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। আগেও বলেছি, কিছু মানুষ আছে, যারা পেছন থেকে আমাকে অনেক সাপোর্ট করেন। যে জন্য আমি নিজের কাজটা করতে পেরেছি।’