মাওলানা আমিন আশরাফ
নাজাতের দিনগুলোয় তিন আমল জরুরি
আজ ২৪ রমজান। দোজখ থেকে মুক্তির চতুর্থ দিন। অফুরন্ত পুণ্যের মাস চলে যাওয়ার আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। অবশ্যই এই মহান মাসের কদর আমরা পুরোপুরিভাবে করতে পারিনি। তবু হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মহান আল্লাহ চাইলে তার বান্দার অল্প সময়ের আমলও কবুল করে নিতে পারেন। দিয়ে দিতে পারেন দোজখ থেকে মুক্তির ঘোষণাপত্রও।
পবিত্র রমজান মাস নিজের পাপরাশি ক্ষমা করার অপূর্ব সুযোগ গ্রহণ করার মাস। এ মাসে যারা নিজেদের গুনাহ মাফ করাতে পারল না, প্রকৃতপক্ষেই তারা হতভাগা। এখনো যে কদিন সময় আছে আসুন! আমরা এ মাসে দরকারি কিছু আমলের কথা জানি এবং তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। মহান আল্লাহ আমাদের সে তওফিক দান করুন।
মাহে রমজান মুমিন মুসলমানের জন্য রাব্বুল আলামিনের এক মহাঅনুগ্রহ। এ অনুগ্রহের মাস রমজানের শেষ দিনগুলোয় তিনি তার বান্দাদের জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।
এ সময়েই বেজোড় রাতগুলোর কোনো একরাতে রয়েছে মুমিন মুসলমানের শ্রেষ্ঠ ইবাদতের রাত ‘লাইলাতুল কদর’। কোরআনের এ রাতকে কেন্দ্র করে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাই নাজিল করা হয়েছে। সেখানে ‘লাইলাতুল কদর’কে হাজার মাস থেকেও শ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
রমজানের শেষ দিনগুলোর প্রতিটি রাতে মুমিন বান্দার জন্য তিনটি কাজ করা আবশ্যক—
সুরা ইখলাস পড়া : শেষ দশকের প্রতিদিন ও রাতে ন্যূনতম তিনবার সুরা ইখলাস তেলাওয়াত করা। কেউ যদি তিনবার সুরা ইখলাস পাঠ করে, তবে মহান আল্লাহ তাকে সম্পূর্ণ কোরআন তেলাওয়াত করার সওয়াব দান করবেন।
এক দিন প্রিয়নবী (সা.) বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ কি এক রাতে (ঘুমানোর সময়) এক-তৃতীয়াংশ (১০ পারা) কোরআন পড়তে পারবে? সাহাবারা আরজ করলেন, এটা কেমন করে সম্ভব? নবীজি (সা.) বললেন, কুল হুয়াল্লাহু আহাদ (সুরা ইখলাস) কোরআনের এক তৃতীয়াংশ। (বোখারি ও মুসলিম)
ফজর এবং এশার সালাত জামায়াতে আদায় : রমজানের শেষ সময়ের এশা এবং ফজর সালাত জামায়াতের সঙ্গে আদায় করা। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামায়াতের সঙ্গে আদায় করল, সে যেন অর্ধরাত পর্যন্ত নামাজ আদায় করল। আর যে এশা এবং ফজর নামাজ জামায়াতে আদায় করল, তবে ওই ব্যক্তি সারারাত নামাজে আদায় করল। (তিরমিজি)
লেখক : আলেম, শিক্ষক ও অনুবাদক [email protected]