সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল চালু করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে গত ৪ জুন দ্বিপক্ষীয় বাংলাদেশ সরকার ও স্ইুস ফেডারেল কাউন্সিলের মধ্যে এ চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরেকটি দেশে সরাসরি বিমান চলাচলের দ্বার উম্মোচিত হলো।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবং সুইস ফেডারেল অফিস অব সিভিল এভিয়েশনের ডাইরেক্টর জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান হেগনার এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তির অধীনে দুই দেশের মনোনীত বিমানসংস্থাগুলো সপ্তাহে ৭টি যাত্রী ও ৭টি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। এছাড়াও মনোনীত দুই দেশের বিমানসংস্থাগুলো যাতে নিজেদের ও তৃতীয় কোন দেশের বিমানসংস্থার সঙ্গে কোড শেয়ারের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে, সে সুযোগ রাখা হয়েছে চুক্তিতে।

সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে সুইস এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ও এডেলউইস এয়ার এজি এবং বাংলাদেশ পক্ষ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস বাংলা, এয়ার ও নভোএয়ারকে দুই দেশের মধ্যে পরিসেবার জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গত ৭ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে অনুস্বাক্ষরিত চুক্তিটির সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে তা চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হলো। চুক্তিটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইইউভূক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বিমান চলাচল পরিচালনায় একই ধরনের বিধি-বিধান প্রতিপালন নিশ্চিত করা। ইইউর পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইউরোপিয়ান কমিশনের ডিরেক্টরেট জেনারেল ফর মবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টের ডিরেক্টর ফিলিপ কর্নেলিস এবং বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

এসব অনুষ্ঠানে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, উপ সচিব রোকসিন্দা ফারহানা, সিএএবি’র স্পেশাল ইন্সপেক্টর এস এম গোলাম রাব্বানী এবং সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশ মিশনের ডেপুটি পার্মানেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যান্ড চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স সঞ্চিতা হক ও বেলজিয়ামের ব্রাসেল্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ও হেড অফ দি মিশন মাহবুব হাসান সালেহ উপস্থিত ছিলেন।