সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

  ১২ মে, ২০২৪

বৃষ্টি এলেই পানিতে তলায় সড়ক

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার ব্যস্ততম বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে পর্যাপ্ত নালা (ড্রেন) ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে প্রায় তিন কিলোমিটার অংশ পানির নিচে তলিয়ে থাকে। গত শনিবার মৌসুমের প্রথম ভারি বৃষ্টিতে সড়কের ইউনিক থেকে জামগড়া পর্যন্ত অংশ এই অবস্থা তৈরি হয়।

আজ রবিবারও ওই এলাকায় সড়কে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এর মধ্যে আবহওয়া অধিদপ্তর থেকে আরো বৃষ্টিপাতের পূর্বভাস থাকায় দুর্ভোঘ বৃদ্ধির আশঙ্কায় আছে ওই পথে চলক-যাত্রী ও আশপাশের বাসিন্দারা।

দীর্ঘদিন সড়কের সংস্কার না করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার শ্রমিকসহ কর্মজীবী মানুষ। সম্প্রতি বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়কটি দ্রুত সংস্কারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত নালা ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় দীর্ঘ যানজটের চিত্র দেখা গেছে। গত শনিবারের বৃষ্টিতে ইউনিক এলাকায় পুরো সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। কোথাও কোথাও পানি সড়ক ছাপিয়ে পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ে। গতকাল রবিবারও ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।

বর্ষাকাল ছাড়াও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে একটু বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকে। পানি নিষ্কাসনে নালা না থাকায় রাতে আশপাশের বাড়ির পানিও পাইপ দিয়ে সড়কে ওপর ফেলে, তাতে সব সময় সড়কে পানি-কাদা থাকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সামান্য বৃষ্টিতে ইউনিক থেকে জামগড়া পর্যন্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমাধানের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। মাঝেমধ্যে সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষ পাম্প মেশিন দিয়ে সেচারের ব্যবস্থা করলেও, পর্যাপ্ত নালা না থাকায় একটু পরই বৃষ্টিতে সড়কটি পানির নিচে চলে যায়।

ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক মোস্তফা বলেন, বৃষ্টিতে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় গাড়ি চালাতে সমস্যা হয়। একবার যদি মোটরে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা জরিমানা লাগে। এ কারণে ঝুঁকি নিয়ে রিকশা চালাতে হয়।

গার্মেন্ট শ্রমিক সামিউল বলেন, অনেক বছর ধরেই বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কটি অল্প বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে থাকে। ভারি বর্ষণে আশপাশের দোকান ও বসতবাড়িতে পানি ঢুকে যায়। সড়কের কোথাও কোথাও হাঁটু পানির বেশি হয়। সকালে বৃষ্টি হলে দিনে চারবার পানিতে ভিজে যাতায়াত করতে হয়েছে। বিভিন্ন সময় ময়লা পানির কারণে আমাদের শরীরে চুলকানিসহ চর্মরোগ দেখা দেয়।’

আরেক গার্মেন্টসকর্মী আতিয়ার রহমান বলেন, ‘ময়লা পানির জন্য আমাদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। বিভিন্ন সময় পড়ে রিকশা উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।’ একই কথা জানান নারী শ্রমিক শেফালি বেগম। তাদের দাবি, দ্রুত নালা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ সড়কটি উঁচু করা হোক।

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘শনিবার বছরের প্রথম ভারি বৃষ্টিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের লোকজন কাজ করছে। প্রয়োজনে পাম্প দিয়ে সড়কের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।’

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close