reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ মার্চ, ২০২৪

চিকিৎসার টাকা নেই, রিকশাচালকের আত্মহত্যা

স্ত্রী মঞ্জিলা বেগম ও দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে রাজধানীর হাতিরঝিলের মধুবাগের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন রিকশাচালক জয়নাল আবেদীন (৪৫)। অভাবের সংসারে ৪ বছর আগে হার্টের রোগ ধরা পড়ে তার। নিজে রিকশাচালিয়ে ও স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি এতদিন নিজের চিকিৎসা করাতেন জয়নাল। কিন্তু দুর্মূল্যের এই বাজারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তার। অবশেষে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে না পেরে পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেন জয়নাল।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত আটটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নিহতের স্ত্রী মঞ্জিলা বেগম জানান, আমার স্বামী রিকশা চালাতেন। চার বছর আগে হার্টের রোগ ধরা পড়ে তার। আমি বাসা বাড়িতে কাজ করি। আমার এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়েটি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। ছেলেটির বয়স পাঁচ বছর। আমরা গরিব মানুষ। হার্টের রোগের চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা পয়সা লাগে। আমার স্বামী এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কোনো কাজই করতে পারত না। আমাদের মা-মেয়ের সামান্য এই টাকায় সংসার চলত। অভাবের সংসারে খুব কষ্ট করে দিন চলে আমাদের। স্বামীর হার্টের রোগের চিকিৎসার জন্য এত টাকা পয়সা আমাদের নেই। তাই কখনো আমরা তার জন্য ওষুধ কিনে দিতে পারতাম, আবার অনেক সময় পারতাম না।

তিনি আরও জানান, আজ সন্ধ্যার পর শরীরের ব্যথায় আমার স্বামী কাতর হয়ে পড়ছিলেন। কিন্তু টাকা না থাকায় তার জন্য ওষুধ আনতে পারিনি। এই কষ্টে আমার স্বামী নিজের পেটে চাকু চালিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পরে আমরা এই অবস্থা দেখে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। পরে এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাতের দিকে মারা যায়।

তাদের গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার ইসলামপুরে বলেও জানান তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close