পুড়ে গেল রমজানের জন্য আনা লাখ টন চিনি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় একটি চিনি পরিশোধন কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৪ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এই চিনির কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৮ ইউনিট আগুন নির্বাপণে কাজ করছিল। ৪ লাখ টন কাঁচা চিনি (র সুগার) রাখার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এ কারখানায় আগুন লাগার সময় এক লাখ টন চিনি ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
তবে কেন কী কারণে আগুন লেগেছে এবং হতাহত আছে কিনা এ বিষয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, কারখানাটির অবস্থান কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে অজ্ঞাত উৎস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় কারখানায়। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে কর্ণফুলী স্টেশন থেকে একটি এবং চন্দনপুরা ও আগ্রাবাদ থেকে আরও আটটিসহ মোট ৯টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে। পরে মোট ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, র সুগার ও কেমিক্যালসহ দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দাউ-দাউ করে জ্বলতে থাকে। কুণ্ডলী পাকিয়ে ওঠা ধোঁয়ায় পুরো ইছানগরের আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। দিনের বেলায় আগুন লাগার কারণে কারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীরা বেরিয়ে পড়তে সক্ষম হয়।
কারখানা সূত্র জানায়, কারখানাটিতে আমদানি করা কাঁচা চিনি (র সুগার) পরিশোধন করে বাজারজাত করা হয়। ইউনিট-ওয়ান এর গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। সেগুলো সব পুড়ে গেছে। রমজানের জন্য চিনিগুলো আমদানি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আগুন যাতে মূল কারখানা এবং পরিশোধিত চিনি যেখানে রাখা হয়েছে সেই জায়গায় ছড়াতে না পারে সেই চেষ্টা করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের সঙ্গে আরও তিনটি ইউনিটকে আনা হয়েছে। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে আগুন যেন পুরো কারখানায় ছড়াতে না পারে সেই চেষ্টা তারা করছেন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। গুদামটিতে এক থেকে দেড় লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল বলে জানতে পেরেছেন।