পবিপ্রবি প্রতিনিধি
অবশেষে পবিপ্রবির বিতর্কিত কর্মকর্তা রাসেল সাময়িকভাবে বরখাস্ত
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে কর্মরত পিও টু প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর মো. সামসুল হক রাসেলকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস-চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসুর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় কর্মকর্তা মো. সামসুল হক রাসেল কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি ভবনের (কৃষিকুঞ্জ) ডাইনিং কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি এন্ড মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মো. নজরুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করাসহ জীবননাশের হুমকি দেন। পরবর্তীতে অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মো. সামসুল হক রাসেলের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অতঃপর অভিযোগের বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয় এবং তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত প্রতিবেদনে পবিপ্রবি কর্মকর্তা মো. সামসুল হক রাসেল কর্তৃক অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলামকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করাসহ হুমকি-ধমকি প্রদান করেন যা তদন্ত কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়।
এমতাবস্থায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮-এর ২(খ) এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীর সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধির ২(খ) ধারার অপরাধে উক্ত বিধির ধারা ৯ অনুযায়ী পবিপ্রবি কর্মকর্তা মো. সামসুল হক রাসেলকে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একই সাথে তার ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন উক্ত কর্মকর্তাকে গ্রন্থাগারিক হিসেবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার পবিপ্রবিতে ন্যাস্ত করা হয়েছে এবং এ সময়ে তিনি সরকারি বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাদিও পেয়ে থাকবেন।