সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই চিকিৎসক মারা গেছেন
সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তার (২৭) রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় শুরু থেকেই তার অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। চার দিনেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তাকে সারিয়ে তুলতে সম্ভাব্য সবকিছুই আমরা করছি। কিন্তু বাঁচাতে পারলাম না।
লতার ফুফাতো ভাই সজীব আহমেদ বলেন, লতা মারা গেছেন। হাসপাতালের প্রক্রিয়া শেষে লতার মরদেহ নরসিংদীতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাকে দাফন করা হবে।
গত রোববার রায়পুরায় নিজের বাড়িতে সাবেক স্বামী খলিলুর রহমান খলিলের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হন লতা। একই ঘটনায় দগ্ধ খলিল ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কানাডা প্রবাসী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তার ছেলে পরিচয়ে লতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন খলিল। বিয়ের পর চিকিৎসক জানতে পারেন, তার স্বামী পেশায় গাড়িচালক, থাকেন ঢাকায়। এ নিয়ে মনোমালিন্য ও বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। তবে বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি খলিল। ঘটনার দিন সকালে তিনি রায়পুরায় লতার বাড়িতে যান। সেখানেই শরীরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে লতার খালু ফরহাদ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, খলিল তার ভাগনিকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে খলিলের স্বজন বলছেন, তারা দু’জনই একসঙ্গে শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। দরজা ভেঙে দু’জনকেই গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।