সংসদ প্রতিবেদক

  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সংসদে ধর্মমন্ত্রী

রাষ্ট্রপতির ভাষণ সুবিন্যস্ত, তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ ও দিক-নির্দেশনামূলক

ছবি : সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির দেওয়া ভাষণকে সুবিন্যস্ত, তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ ও দিক-নির্দেশনামূলক হিসেবে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে ধর্মমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের সকল সূচকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরেছেন। একইসাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নানা দিক-নির্দেশনাও রাষ্ট্রপতির ভাষণে প্রতিফলিত হয়েছে। এ ভাষণ আগামীদিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের সকল সূচকে নব দিগন্তের উন্মেষ ঘটেছে, মাইলফলক রচিত হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালের ৪ হাজার ৪৯২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ২০২৩ সালে ২৯ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াটে পরিণত হয়েছে। শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, মাথাপিছু আয় ২০০৯ সালে ৭০৩ ডলার হতে ২০২৩ সালে ২ হাজার ৭৯৩ ডলারে উন্নীত হয়েছে।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মতো মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন। একইসাথে ১০টি মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন। ৩৯৪টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। শতভাগ প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের মাধ্যমে গরীব-অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদনের বিভিন্ন সূচকে বিশ্বে ১০টি প্রথম সারির দেশের তালিকায় বাংলাদেশ স্থান করে নিয়েছে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ইসলামের খেদমতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করে মুসলিম বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

তিনি বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের মতো হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কার এবং ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও ধর্মীয় নেতাদের প্রশিক্ষণসহ আন্তঃধর্মীয় সংস্কৃতির বিকাশে নানামূখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থায়নে নেপালের লুম্বিনীতে একটি বৌদ্ধবিহার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ধর্মমন্ত্রী তার বক্তব্যে একাদশ জাতীয় সংসদে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদে একই মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া, তিনি তার নির্বাচনি এলাকার ভোটারসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ধর্মমন্ত্রী,রাষ্ট্রপতির ভাষণ,সংসদ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close