নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সিলেটের উন্নয়নে সরকার সবসময় আন্তরিক : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সিলেটের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অনুমোদন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সঠিক লোককে লন্ডন থেকে এনে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের দেশে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার লোকের বড়ই অভাব, এক্ষেত্রে সিলেটের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন দায়িত্বশীল মানুষ। শনিবার সকাল ১০টায় সাগরদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীর সিলেট আগমন উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল ময়ূরকুঞ্জ কনভেনশন হলে এক নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সিলেটের উন্নয়নে সরকার সবসময় আন্তরিক উল্লেখ করে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যে যাই বলুক না কেন তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। আমি বুঝতে পেরেছি, একজন সঠিক ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী খুঁজে বের করেছেন। আমি মনে করি এ রকম একজন লোককে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সিলেটবাসী ভাগ্যবান।

একটি পরিচ্ছন্ন স্মার্ট সিলেট নগরী গড়তে মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.) এর স্মৃতিবিজরিত আধ্যাত্মিক এই নগরীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আলাদাভাবে মূল্যায়ন করেন, এজন্য তিনি এবারও নির্বাচনী কার্যক্রম সিলেট থেকেই শুরু করেন। এই নগরীর উন্নয়নে সরকার থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, সিসিকের নির্বাচনের পর জাতীয় নির্বাচনের কারণে স্থানীয় সরকারের অধীনে কাজগুলো বন্ধ ছিল, মাত্র কাজ শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী অনেক কাজ হাতে নিয়েছেন। এই সরকারের আমলেই আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে সিলেটে ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে।

ওয়াকওয়ে পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও ড. এ কে আবদুুল মোমেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানসহ সিসিকের কাউন্সিলর ও অন্য কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম শনিবার সকাল ৮টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে সিলেট আসেন। এ সময় তাকে স্বাগত জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।

একই ফ্লাইটে সিলেটে আসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আবদুুল মোমেন। সাগরদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শনের পর মন্ত্রী এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি করপোরেশন কর্তৃক স্থাপিত অক্সিজেন প্লান্ট উদ্বোধন করেন।

অন্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজিরবাজার বৈঠা খাল পরিদর্শন, নবনির্মিত কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন, লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সিসিকের এম আর এফ প্লান্ট পরিদর্শন ও ফলক উন্মোচন, সিসিক পরিচালিত কুমারপাড়ায় ওসমান মিয়া মার্চেন্ট মা ও শিশু হাসপাতাল উদ্বোধন, আরবান রেজিলিয়েন্সের আওতায় নির্মিত নগর ভবনের ষষ্ঠতলায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার পরিদর্শন।

এছাড়া সিটি করপোরেশনের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন, অগ্রগতি ও জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। জালালাবাদ পার্কে সিসিক আয়োজিত বসন্ত উৎসবেও প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম,মো. তাজুল ইসলাম,সমবায়মন্ত্রী,স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close