৬ষ্ঠ দিনে বইমেলায় এসেছে ১০৮টি নতুন বই
অমর একুশে বইমেলার ষষ্ঠ দিন ১০৮টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আগামীকালের মেলার সময়সূচি ও কার্যক্রম
আগামীকাল বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার সপ্তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ : গোবিন্দ চন্দ্র দেব শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায়। আলোচনায় অংশ নেবেন জয়দুল হোসেন এবং সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক।
আজ যা হয়েছে বইমেলায়
মঙ্গলবার অমর একুশে বইমেলার ষষ্ঠ দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ : মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। লতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জফির সেতু। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শাহিদা খাতুন এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবদুল খালেক।
অনুষ্ঠানে প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম পথিকৃৎ মুহম্মদ মনসুর উদ্দীনের জন্ম ও কর্মপরিসর বিশশতকে। তিরাশি বছরের জীবনে তিনি সংস্কৃতি সাধনায় মগ্ন ছিলেন তেষট্টি বছর। জীবনের এই দীর্ঘ পরিসরে বাংলা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চায় যে অবদান তিনি রেখে গেছেন তা তুলনারহিত। তিনি ছিলেন মূলত লোকসাহিত্য ও লোকসংস্কৃতির সংগ্রাহক, সংরক্ষক, সম্পাদক ও প্রকাশক।
এছাড়াও লোকসাহিত্যের পাঠ বিশ্লেষণ, লোক কবিদের জীবন অন্বেষণ, লোকসাহিত্যের তাত্ত্বিক বিষয় ও বিভিন্ন ধারার শ্রেণি বিচারসহ নানাবিধ আলোচনার মাধ্যমে বাংলা লোকসাহিত্যের বিশ্লেষণেও তিনি মনোযোগী ছিলেন।
আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের লোকসাহিত্যের পরিমণ্ডলে মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন গুরুত্বপূর্ণ এক নাম। আমাদের গ্রামবাংলার বিলুপ্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তিনি আলোয় তুলে ধরেছেন। বাংলা লোকসাহিত্য-গবেষণায় আধুনিকতা ও আন্তর্জাতিকতার অগ্রপথিক তিনি। অসাধারণ মেধা ও প্রজ্ঞার অধিকারী মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন লোকসাহিত্যের উপাদান সংগ্রহের পাশাপাশি সেগুলো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণেও আধুনিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুল খালেক বলেন, লোকসাহিত্য সংগ্রাহক ও গবেষক মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন লোকসাহিত্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ জাগ্রত করার জন্য কাজ করেছেন। লোকসাহিত্যের স্রষ্টা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি সহজেই মিশে যেতে পারতেন। লোকসাহিত্য পরিমণ্ডলে তিনি যে অসাধারণ কীর্তি রেখে গেছেন, তা বাঙালি সংস্কৃতিকে আলোকিত করেছে।
‘আমি লেখক বলছি’র আজকের আয়োজন
আজ ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন প্রাবন্ধিক খান মাহবুব, শিশুসাহিত্যিক শেলী সেনগুপ্তা, গবেষক নিগার চৌধুরী এবং কবি আহমেদ শিপলু।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি সাজ্জাদ আরেফিন, ফারহান ইশরাক এবং সৌম্য সালেক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝর্ণা সরকার এবং মো. কামাল হোসেন। দলগত আবৃত্তি পরিবেশন করেন জাহাঙ্গীর চৌধুরীর পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন উদ্ভাস আবৃত্তি সংগঠন। এছাড়াও ছিল কাঙাল মজিবরের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন কাঙাল হরিনাথ সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী নারায়ণ চন্দ্র শীল, বিমল বিশ্বাস, সাধিকা সৃজনী তানিয়া, শান্তা সরকার, শ্যামল কুমার পাল, আজমা সুরাইয়া শিল্পী এবং শারমিন সুলতানা।