আইএমও’র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল নির্বাচনে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে জয়ী হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) লন্ডনে জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত বিশেষায়িত এই এজেন্সির ৩৩তম অধিবেশনে আইএমও কনভেনশনের ১৬ ও ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিনটি ক্যাটাগরিতে কাউন্সিল সদস্য পদে গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ মেয়াদে ৪০ সদস্যের নতুন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচিত হয়।
আন্তর্জাতিক শিপিং পরিষেবা প্রদানে সর্বাধিক আগ্রহী এমন ১০টি দেশ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে, আন্তর্জাতিক সমুদ্রবাহিত বাণিজ্যে সর্বাধিক আগ্রহী এমন ১০টি দেশ ‘বি’ ক্যাটাগরিতে এবং ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত নয়, অথচ যাদের সামুদ্রিক পরিবহন বা নেভিগেশনে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে এবং যাদের কাউন্সিলে নির্বাচন বিশ্বের সব প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করবে এমন ২০টি দেশ ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়।
এবারের ‘সি’ ক্যাটাগরির কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচনে ২৫টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ১৬৮টি বৈধ ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৮ ভোট পেয়ে ১৬তম হয়ে নির্বাচিত হয়।
আইএমও জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা। এটি শিপিং সুরক্ষা ও নিরাপত্তা এবং জাহাজ দ্বারা সামুদ্রিক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধে দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আইএমও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সহায়তা করে। বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্প ও সরকারের সকল নিয়ন্ত্রক, আর্থিক, আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৭৫টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা। আইএমওর হেডকোয়ার্টার লন্ডনে অবস্থিত। নৌপরিবহন অধিদপ্তর বাংলাদেশের আইএমওর ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
এবারের নির্বাচনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথম থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এই অর্জন বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান এবং বৈশ্বিক মেরিটাইম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সমর্থনের একটি প্রমাণ। এ বছরের জুনে নিরাপদ জাহাজ পুনর্ব্যবহার সংক্রান্ত হংকং কনভেনশনে বাংলাদেশের অনুসমর্থন যা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম মানদণ্ড বজায় রাখতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার প্রতিফলিত করেছে, তা এ নির্বাচনে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে।
এ নির্বাচন মেরিটাইম সেক্টরকে সুগঠিত ও সুশৃংখল এবং সংগঠিত করবে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ পরিচালনা এবং জাহাজ পুনর্ব্যবহার খাতের দক্ষতা বাড়িয়ে বৈশ্বিক খ্যাতি অর্জন করবে বলে জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
পিডিএস/এএমকে