নিজস্ব প্রতিবেদক
তুরস্ক যাচ্ছেন বাংলাদেশের উদ্ধারকারীরা
তুরস্কে ভূমিকম্পের ঘটনায় উদ্ধারকাজে যাচ্ছে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল। এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন করে সদস্য রয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে আরো জানান, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিমানে (সি-১৩০) দলটি আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক যাবে। প্রাথমিকভাবে ১০ জনের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই দলে কারা থাকবেন, কী কী সরঞ্জাম, উপকরণ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হবে তা ঠিক করা নিয়ে কাজ চলছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পের কারণে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। মঙ্গলবার বিকেলে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তুরস্কে ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
সরকারি সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তুরস্ককে উদ্ধারকারী দল পাঠানোর বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তুরস্ক দ্রুত এ বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা জানায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, এর আগের বারের ভূমিকম্পে তুরস্ককে উদ্ধারকারী দল পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তখন তারা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছিল, উদ্ধারকারী দল পাঠানো দরকার নেই। এবার তারা প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই আগ্রহ দেখায়।
এক বিবৃতিতে গতকাল জানানো হয়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন ১২ সদস্যের এই উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত করেছেন। উদ্ধারকারী দলের সদস্য হিসেবে যারা যাচ্ছেন, তারা ইন্টারন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অ্যাডভাইজরি গ্রুপের (ইনসারাগ) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বিধ্বস্ত ভবনে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ পরিচালনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সম্মিলিত উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা সম্মানিত বোধ করছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য এটি ফায়ার সার্ভিসের প্রথম বিদেশ যাওয়া। বর্তমান সরকারের সময়ে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির এটি একটি উদাহরণ। এটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য একটি অভাবনীয় স্বীকৃতি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রত্যেক সদস্য এজন্য গর্বিত বোধ করছেন। আমি বিশ্বাস করি, ফায়ার সার্ভিসের সব সদস্য নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দেবেন তুরস্কের ভূমিকম্প কবলিত এলাকায়। ’