নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী রমনা পার্কের উদ্বোধন করবেন সোমবার

ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর রমনা পার্কের উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সংস্কার করা আধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা-সংবলিত রমনা পার্কের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য রমনা বটমূলে নির্মাণ করা হয়েছে মঞ্চ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রমনা বটমূলে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মহড়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ২০১৮ সালে রমনা পার্কের উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। তবে এক কোটি ২০ লাখ টাকা সরকারি ফান্ডে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার সময় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

রমনা পার্কে পুরাতন রাস্তাগুলো সংস্কার, একটি কালভার্ট, পার্কের ভেতরে দুটি এলইডি স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছে। একটি এলইডি স্ক্রিন মৎস্য ভবন গেট দিয়ে পার্কে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে। হেয়ার রোডের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধার পার্শ্ববর্তী ভিআইপি গেট হয়ে প্রবেশ করলে চোখে পড়ে অপর একটি এলইডি স্ক্রিন। এলইডি স্ক্রিন দুটিতে রমনা পার্ক এবং স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত নানা তথ্য প্রচার করা হয়ে থাকে। উন্নয়নকাজের অংশ হিসেবে রমনা লেকের পাশে কাঠের ওয়াকওয়ে, মৎস্য ভবন গেট থেকে হোটেল শেরাটনের পেছনের গেট পর্যন্ত সড়কটি পিচঢালা করা হয়েছে। রমনা পার্কের ভেতরে ১২০০ লাইট এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। রমনা চায়নিজ রেস্তোরাঁ ভেঙে সংস্কার করে কফি কর্নার নির্মাণ করা হয়েছে। শিশু কর্নারে নতুন সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পার্কে চারটি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।

রমনা পার্কের এসব উন্নয়নকাজে বাজেট রাখা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। তবে এই বাজেটের চেয়ে কমেই কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

রমনা পার্কে ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমের ফুলগুলো ফুটেছে। রানির মাঠে গোলাপ, ডালিয়া সূর্যমুখী ফুটেছে। এ ছাড়া পার্কের অন্যান্য স্থানে ফুটেছে হলিহক, লুপিং, এন্টা হোনাম, আস্ট্রা, হোলিকোসম, সালভিয়া, কসমস, ডেইজি, ইনকা গাঁদা ফুল।

পার্কে কর্মরত কর্মচারীরা জানান, রমনা পার্কের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত মালি নেই। বর্তমানে মাত্র চারজন মালী রয়েছেন। ফুলের গাছ পরিচর্যার জন্য মালী প্রয়োজন অন্তত ৩০ জন। ময়লা পরিষ্কারের জন্যও যথেষ্ট জনবল নেই। ১২ জন ঝাড়ুদার দিয়ে আউটর্সোসিংয়ের মাধ্যমে রমনা পার্ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়ে থাকে। নিরাপত্তার জন্য আনসার সদস্য রয়েছেন ৩৫ জন। আনসারের সংখ্যা বৃদ্ধি করে অন্তত ৬০ জন করা প্রয়োজন।

এসব বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতার বলেন, সোমবার রমনা পার্কের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। রমনা পার্কের পরিচর্যার জন্য জনবল প্রয়োজন রয়েছে তা আমাদের জানা আছে। জনবল নিয়োগের জন্য একটি প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। রমনা পার্কে বেড়াতে আসা জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পার্কে ফেরিওয়ালা প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রধানমন্ত্রী,রমনা পার্ক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close