ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান একাই যথেষ্ট: চীন
ইসরায়েলে ইরানের হামলা ইস্যুতে অবশেষে নিরবতা ভেঙেছে চীন। নেতানিয়াহু বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে রাইসি প্রশাসন একাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা এড়াতেও ইরান সক্ষম বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর থেকে উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতির মাঠ। পশ্চিমা অনেক দেশই ইরানের এ হামলার নিন্দা জানালেও, এ ইস্যুতে এতদিন চুপ ছিল চীন। অবশেষে ভাঙলো সেই নিরবতা। নেতানিয়াহু বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে ইরান একাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপও করেছেন ওয়াং ই। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্যর পর বেইজিং ইসরায়েলকে নয় বরং ইরানকেই সমর্থন দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এরমধ্যেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখান থেকে জানা যায়, পশ্চিমারা ইসরায়েলকে সরাসরি সমর্থন দিলেও পর্দার আড়ালে ইরানের ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছে দুই পরাশক্তি রাশিয়া এবং চীন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের ওপর হামলায় মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেম হিসেবে ইরান যেমন চীনের বেইদু স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করেছে; এর পাশাপাশি ব্যবহার করেছে রাশিয়ার গ্লনাস সিস্টেম। এ ছাড়া আগে জানা গিয়েছিল, রাশিয়ার সঙ্গে ইউএভি তৈরির গবেষণা চালাচ্ছে ইরান। এ ধরনের কিছু ইউএভি ব্যবহার হয়েছে ইসরায়েলে হামলার সময়ে।
এ ছাড়া ইসরায়েলে ইরানের হামলার আগে থেকেই, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাশিয়া। শুধু তাই নয়, গেল বছর অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের সদস্য হিসেবে যুক্ত হওয়ায় ইরানকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া। সামরিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একে অপরের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে উঠছে তারা।
পশ্চিমাদের হুমকির তোয়াক্কা না করে ২০২২ সালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে সম্মতি জানায় ইরান। এর বিনিময়ে রাশিয়া থেকে তারা নেয় উন্নতমানের যুদ্ধবিমান এবং আকাশপথে নিরাপত্তার প্রযুক্তি।
এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের মত, রাশিয়ার বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য প্রযুক্তি যদি ইরান কাজে লাগায়, তবে ইসরায়েল হামলা করলে তার দাঁতভাঙা জবাব দিতে পারবে ইরান।