![reporter](/templates/web-ps/images/rp_icon.png)
ইসরায়েলের বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে ইরানের ৭ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র
![](/assets/news_photos/2024/04/14/image-451566.jpg)
ইসরায়েলের রেমন বিমান ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত হেনেছে ইরানের ৭টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনশরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। সেগুলোর বেশিরভাগ ইসরায়েল প্রতিহত করলেও অন্তত ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের মাটিতে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইরানের একটি বার্তা সংস্থা।
ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, ইসায়েলই নিশ্চিত করেছে রেমন ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে দ্রুতগতি সম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে, রেমন ঘাঁটিতে খুব দ্রুত গতিতে আঘাত হানছে ক্ষেপণাস্ত্র। ওই সময় সেখানে আগুনের ফুলকিও দেখা যায়।
ইরানের আরেক বার্তাসংস্থা মেহের নিউজ রুশ বার্তাসংস্থা স্পুটনিকের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলিরা শিকার করেছে তাদের রেমন বিমান ঘাঁটিতে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেট লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের দুই জেনারেলসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। ওই হামলার জবাব দিতে গতকাল রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। তবে এসব মারণাস্ত্র ইসরায়েলের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।
উল্টো হামলাটি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জন্য সুবিধা এনে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিসের বিশ্লেষক মোহামাদ এলমারসে। তার মতে, ইরানের এই হামলার কারণে গাজায় চালানো ইসরায়েলের গণহত্যার কথা সবাই ভুলে গেছেন এবং নেতানিয়াহু যে সমালোচনার মধ্যে ছিলেন সেটি বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেছেন, “সর্বশেষ ১২ ঘণ্টা নেতানিয়াহুর জন্য একটি বিজয়। লক্ষ্য করুন, আমরা আর আজকের বিষয় নিয়ে কথা বলছি না। আমরা গাজায় ত্রান যাওয়ার ব্যাপারে কথা বলছি না। আমরা গাজার গণহত্যা নিয়ে কথা বলছি না। ইসরায়েলেও কেউ আর জিম্মিদের নিয়ে কথা বলছে না।”
“এটিই (নজর সরে যাওয়া) নেতানিয়াহু চেয়েছিলেন। আমরা এখন পশ্চিমা দেশগুলোর রাজধানীতে ইসরায়েলের জন্য সমবেদনা এবং তাদের বুলি শুনতে পাচ্ছি।” যোগ করেন মোহামাদ এলমারসে।
সূত্র: ইরনা, মেহের নিউজ