ইসরায়েলগামী সব জাহাজে হামলার হুমকি হুতিদের
ইয়েমেনে ইরানসমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা বলেছে, গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও ওষুধ ঢুকতে না দিলে ইসরায়েলি বন্দরমুখী যেকোনো জাহাজে হামলা চালাবে তারা। শনিবার তারা এমন হুমকি দিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর থেকে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর ও আশপাশের নৌসীমায় কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। এসব হামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা চলার মধ্যেই নতুন হুমকি দিয়েছে হুতিরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হুতি বিদ্রোহীরা বলেছে, হামাসশাসিত গাজায় ইসরায়েল যদি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে না দেয়, তবে তারাও দেশটিতে জাহাজ যেতে দেবে না।
সম্প্রতি হুতি বিদ্রোহীরা কয়েকটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, এ জাহাজগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সংযোগ আছে। তবে শনিবার তারা যে হুমকি দিয়েছে, তাতে লক্ষ্যবস্তুর আওতা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবৃতিটি হুতি বিদ্রোহীরা এএফপির কাছে পাঠিয়েছে। এতে গাজা থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য আরব ও মুসলিম দেশগুলো যেন তাদের সব সক্ষমতা ব্যবহার করে, সে আহ্বান জানানো হয়। এদিকে হুতি বিদ্রোহীরা ‘সাহসী ও বলিষ্ঠ’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে একে স্বাগত জানিয়েছে হামাস।
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হ্যানেবি বলেছেন, তার দেশ নৌপথ অবরুদ্ধ হতে দেবে না। তিনি আরো বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইউরোপীয় নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টুয়েলভ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হ্যানেবি বলেন, বিশ্ব যদি ব্যবস্থা না নেয়, তবে আমরাই এ নৌ অবরোধ ঠেকাতে পদক্ষেপ নেব।
রবিবার ফরাসি সামরিক বাহিনী বলেছে, শনিবার রাতে লোহিত সাগর এলাকায় তাদের একটি যুদ্ধজাহাজ দুটি ড্রোন ধ্বংস করেছে। ইয়েমেন উপকূল থেকে ড্রোনগুলো ওড়ানো হয়েছিল এবং এগুলো জাহাজটির দিকে যাচ্ছিল।
গত সপ্তাহে হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেন উপকূলে দুটি জাহাজে হামলা চালায়। এর মধ্যে বাহামার পতাকাবাহী একটি জাহাজও ছিল। তাদের দাবি, জাহাজগুলো ইসরায়েলি মালিকানাধীন।
গত মাসে এ বিদ্রোহী বাহিনী ইসরায়েলসংশ্লিষ্ট একটি মালবাহী জাহাজ জব্দ করে। এর নাম গ্যালাক্সি লিডার।
পিডিএস/মীর