একদিনে আরো ১৮০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ তুলে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই দখলদার ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া হামলায় আহত হয়েছেন এক হাজারের মতো বেসামরিক মানুষ। খবর রয়টার্সের।
কর্তৃপক্ষ জানায়, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। শুক্রবার ভোর থেকেই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে অনবরত বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। আকাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।
খান ইউনিস ও রাফা শহরসহ গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে চলছে হামলা। পাশাপাশি দক্ষিণ গাজার কয়েকটি অঞ্চলে লিফলেট ফেলে ফিলিস্তিনিদের এলাকা ছাড়তে বলে ইসরায়েল। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় বাসিন্দারা পশ্চিমাঞ্চলে পালাতে শুরু করেছে। ভোর থেকেই গাড়িতে জিনিসপত্র বোঝাই করে তারা রাস্তায় নেমে পড়ে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। হামাসের হামলায় ১২০০ ইসরায়েলির নিহত হয়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দখলদার ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নারী ও শিশুসহ ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন।
হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় দখলদার ইসরায়েল। টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দেয়।
প্রায় দেড় মাস সংঘাতের পর গত ২৪ নভেম্বর চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায় বাড়ানো হয় সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। যুদ্ধবিরতি চলাকালে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকে উপত্যকায়।
যুদ্ধবিরতি সাত দিনে হামাসের হাতে বন্দি ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইসরায়েলে বন্দি ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেওয়া হয়।
নতুন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আগেই শুক্রবার থেকে গাজায় ফের হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
পিডিএস/এমএইউ