reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

চার দেশে তুষারধস, বিপর্যস্ত জনজীবন

ভারতের লাহুল-স্পিতি জেলার চিকা এলাকায় সড়ক থেকে বরফ সরাচ্ছেন শ্রমিকরা। ছবি : টুইটার

কাশ্মিরের পর ভারতের হিমাচলে ভয়াবহ তুষারধস হয়েছে। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লাহুল-স্পিতি জেলার চিকা এলাকায় তুষারধস নামে। এ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের দুই শ্রমিকের। নিখোঁজ রয়েছেন আরো একজন।

দ্য ওয়ালের খবরে বলা হয়েছে, এদিন দুপুর ৩টা নাগাদ আচমকাই তুষারধস নামে চিকার শৃঙ্কুলা পাস এলাকার কাছে। এতে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয় রাম বুদ্ধ এবং রাকেশ নামে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের দুই শ্রমিকের। নেপালের বাসিন্দা পাষাণ ছেরিং লামা নামে আরো এক যুবক নিখোঁজ রয়েছেন।

হিমাচল প্রদেশের স্টেট এমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার ফের উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। লাহুল-স্পিতির ডিস্ট্রিক্ট ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, কাজ চলার সময় বরফ কাটার মেশিন সমেত তুষারধসে তলিয়ে যান তিনজন শ্রমিক। পরে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও তৃতীয়জনের সন্ধান মেলেনি এখনো।


# ভারত, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডে ১২ মৃত্যু # তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ১৭০ ফ্লাইট বাতিল


তিন দিন আগে কাশ্মিরের গুলমার্গের স্কি-রিসর্টে তুষারধসে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছিল পোল্যান্ডের বাসিন্দা দুই পর্যটকের। আরো ১৯ জন বিদেশি পর্যটককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল সেই দুর্ঘটনায়।

এদিকে, আল্পস পর্বতাঞ্চলের অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ড অংশে সপ্তাহান্তে কয়েকটি জায়গায় তুষারধসে অন্তত ১০ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। তারা মূলত স্কি করতে সেখানে গিয়েছিলেন।

নিহতদের মধ্যে নিউজিল্যান্ড, চীন ও জার্মানির পর্যটকরা রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

মারাত্মক তুষারপাত ও ঝড়ো বাতাসের কারণে অস্ট্রিয়ায় চার মাত্রার তুষারধস সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এটা দেশটিতে আবহাওয়াজনিত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা।

কিন্তু আবহাওয়া অফিস থেকে সতর্কতা জারি করা হলেও রাজধানী ভিয়েনার স্কুলগুলোতে ছুটি থাকায় পশ্চিম অস্ট্রিয়ার স্কি রিসোর্টগুলোতে পর্যটক উপচে পড়ছে। রবিবার অস্ট্রিয়া পুলিশ সেখানে পাঁচ পর্বতারোহীর মৃত্যুর খবর জানায়।

তার আগের দিন শনিবার নিউজিল্যান্ডের ১৭ বছরের এক কিশোর, চীনের ৩২ বছরে একজন এবং জার্মানির ৫০ বছরের একজন স্কি করার সময় তুষারধসে চাপা পড়ে মারা যান।

বিরূপ আবহাওয়া তথা তীব্র তুষারপাতের কারণে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা তার্কিশ এয়ারলাইন্সের অন্তত ১৭০টি নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। রবিবার আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

তার্কিশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া উস্তুন এক টুইটে বলেন, আবহাওয়া-সংক্রান্ত জরুরি কমিটির গৃহীত বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত অনুসারে ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করা বা সেখান থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল—এমন ১৫২টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবিহা গোকসেন বিমানবন্দরে অবতরণ করার বা সেখান থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল—এমন ১৮টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারার স্কুলগুলোও সোমবার বন্ধ থাকে বলে আনাদোলুর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পিডিএস/মীর

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বিপর্যস্ত জনজীবন,তুষারধস,ভারত
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close