ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ফি সমন্বয়সহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২ মার্চ) সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার কাছে তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ফি সমন্বয় করা, ইতিমধ্যে যারা অতিরিক্ত ফি জমা দিয়েছে তাদের টাকা মাস্টার্সে সমন্বয় করা এবং জমাকৃত ফি একাডেমিক শাখার খাতায় লিপিবদ্ধ না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা।

জানা যায়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের প্রায় ৪ গুণ ফি বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলন মুখে পরে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ২০ শতাংশ ফি কমানোর আশ্বাস দেয় তৎকালীন প্রশাসন। যেসব শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে ফি দিয়েছে পরবর্তীতে তাদের ফি সমন্বয় করা হবে বলেও জানানো হয়। সে হিসেবেই শিক্ষার্থীরা ফিসমূহ দিয়েছে। তবুও স্নাতক (সম্মান) শেষে কাগজপত্র উত্তোলনের সময় একাডেমিক শাখা থেকে বলা হচ্ছে তাদের ফি বকেয়া রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীরা সমন্বয়ের ঘোষণার পূর্বের বছরগুলোর পূর্ণ ফি দিচ্ছেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রশাসন তীব্র আন্দোলনের মুখে বর্ধিত ফি ২০ শতাংশ সমন্বয়ের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু এখন ফি সমন্বয় নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। অনতিবিলম্বে এই ফি সমন্বয় করতে হবে। না হলে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া এ বিষয়ে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি আমি গ্রহণ করেছি। আমরা আলোচনার মাধ্যমে শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।’

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুখলেসুর রহমান সুইট, ইবি সংসদের সহ-সভাপতি উদয় দেবনাথসহ অন্যান্য নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।

পিডিএস/আরডি