শুভ দে, মাভাবিপ্রবি
রংতুলিতে চার্লি চ্যাপলিন
![](/assets/news_photos/2024/02/12/image-441612.jpg)
দালান-কোঠা ও প্রকৃতির নান্দনিকতায় এক শৈল্পিক ক্যাম্পাস টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)। সম্প্রতি রং তুলির আঁচড়ে নতুনভাবে সেজেছে ক্যাম্পাসের ধুলা-ময়লাময় দেয়ালগুলো। দৃষ্টিনন্দন এ সব চিত্রকর্ম দেখে থমকে যাচ্ছেন পথ ধরে হাঁটতে থাকা পথচারী।
মনোমুগ্ধকর এ সব চিত্রকর্মের সঙ্গে স্মৃতি রাখতে ক্যামেরার হাতেও দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। ক্যামরাবন্দি করে ফেলছেন মুহূর্তগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে, প্রথম একাডেমিক ভবনের পাশে ও ২য় একাডেমিক ভবনের গণিত বিভাগের দেয়ালে চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। কোনটিতে প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছোঁয়া আবার কোনটিতে পশু পাখি আবার কোথাও গাছপালা, কোথাওবা চার্লি চ্যাপলিন, চেস্টার ব্লিনিংটন, লালন, মাওলানা ভাসানীর মতো চিত্রকর্ম। যা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা- কর্মচারী ও দশনার্থীদের মন কেড়েছে। এদিকে গণিত বিভাগের দেওয়ালে চার্লি চ্যাপলিনকেও দেখা যাচ্ছে এখন নান্দনিকতার ছোঁয়ায়।
এই চির্ত্রকর্মগুলো করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসান শাহরিয়ার রাকিব ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু হানিফ। অন্যদিকে ধ্রুবতারা, সাহিত্য সংসদ, বাঁধনসহ অন্যান্য ক্লাবগুলোর নেতৃত্বেও চলে দেয়াল লিখন।
ধুলাবালি জমা এসব বসার জায়গায় স্বপ্রণোদিত হয়ে কারু কাজ করে চলেছেন তারা। তবে তাদের কারুকাজ সবার পছন্দ হওয়ায় নিজেকে সামনের দিনে আরও ভালোভাবে মেলে ধরতে পারবেন বলে মনে করেন তারা।
গণিত বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসান শাহরিয়ার রাকিব প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ক্যাম্পাসের অপরিষ্কার জায়গা গুলো আমার চোখে খারাপ লাগতো। সেই খারাপ লাগার জায়গা থেকেই নতুন কিছু করে জায়গাগুলোকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে আমাদের ক্যাম্পাসের বসার জায়গাগুলো। এজন্য বসার জায়গাগুলোতে বিভিন্ন রকম চিত্রকর্ম করার চেস্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন নকশা বা রং মানুষের জীবনে খুশির বার্তা নিয়ে আসে। তাই পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে রঙিন করে সাজাতে চাই। এজন্য পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কাজটা অনেক সহজ হবে। রাস্তার পাশের এই চিত্রকর্ম নজর কাড়ছে সবার। শিল্পের কারিগরি দক্ষতা পথচারীদের কাছে টানছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী প্রান্ত রায়। ঘুরতে বের হয়ে তার চোখে পড়ে এই চিত্রগুলো। তিনি প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, কয়েকদিন আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে বের হয়ে দেখতে পেলাম এখানে নানা ধরনের চিত্রকর্ম করা হয়েছে। এই চিত্র অঙ্কন করায় এগুলো আগের থেকে অনেক ভালো লাগছে। টাঙ্গাইলের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়েন আদিতি আরিয়ান প্রান্তি। বন্ধুদের সঙ্গে মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি।
প্রান্তিও প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, পূর্বেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি৷ তবে তখন এই জায়গাগুলোতে এমন চিত্র ছিলো না। তখন জানতামও না এই জায়গার কি নাম। তবে এবার এসে এখানকার কারুকার্য দেখে ভালো লাগছে।