কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গণমাধ্যম উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তার পাঠানো ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের সিল সম্বলিত এক চিঠি থেকে পদত্যাগের বিষয়টি জানা যায়।

মাহবুবুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর থেকে তিনি গণমাধ্যম উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

পদত্যাগপত্রে মাহবুবুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের শিক্ষক নিয়োগে ‘সীমাহীন’ অনিয়ম, উপাচার্যের একক কর্তৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ‘অবৈধ’ অনলাইন পিএইচডি ডিগ্রির অনুমোদনের প্রতিবাদ জানান। তিনি অভিযোগ করেন, শর্ত পূরণ না হলেও কতিপয় শিক্ষককে পদোন্নতি এবং সব শর্ত পূরণ সত্ত্বেও শিক্ষকদের একটি অংশকে পদোন্নতি ‘বঞ্চিত’ করা হয়েছে। নীতিমালায় না থাকলেও পছন্দ-অপছন্দ বিবেচনা করে শিক্ষকদের পদোন্নতির সময় ‘অবৈধ’ শর্ত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

• পদত্যাগ পত্রে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ।
• প্রশাসনে নানা অনিয়ম দেখিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ।

সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব হস্তান্তর না করা ও আইন লংঘন করে উপাচার্যের পছন্দের লোকদের এসব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের দিয়ে ক্যাডার বাহিনী তৈরি অন্য শিক্ষকদের পেটানো ও গালিগালাজ করিয়েছেন উপাচার্য। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার অর্থ ব্যয়ে অস্বচ্ছতা ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

এদিকে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করলে দায়ভার নিজের ওপর আসবে মনে করে পদত্যাগ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার। এর আগে ২০২২ সালের ২২ মার্চ দায়িত্ব পালনে উপাচার্যের সাথে সমন্বয়হীনতা ও অস্বস্তিবোধের কথা বলে পদত্যাগপত্র জমা দেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

পিডিএস/আরডি