রাহাত হোসেন, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
হাবিপ্রবিতে ২য় ভেটেরিনারি অলিম্পিয়াডের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত
![](/assets/news_photos/2023/10/07/image-419901.jpg)
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ভেটেরিনারি অলিম্পিয়াড ২০২৩-এর বাছাইপর্ব।
ইউএসএইড (USAID)-এর অর্থায়নে ন্যাশনাল ভেটেরিনারি ডিন কাউন্সিল (NVDC) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)-এর সহযোগিতায় দেশের ১৪টি ভেটেরিনারি মেডিসিন ডিগ্রি প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
এবছর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (শেকৃবি) মোট ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২৭টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বাছাইপর্বে অংশ নেবে হাবিপ্রবির ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ২৬টি দল।
সবার প্রত্যাশা, ভেটেরিনারি শিক্ষাকে আরো যুগোপযোগী ও আধুনিক করতে এই অলিম্পিয়াড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতেও কাজ করবে। ভেটেরিনারি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি নতুন গতির সঞ্চার করেছে এই অলিম্পিয়াড। ন্যাশনাল লেভেলে প্রতিযোগিতা করে বিজয়ীরা অংশ নেবেন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়।
উক্ত বাছাইপর্বের সমাপনী ও ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেন, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদারসহ ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদের বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ ও শিক্ষকগণ। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উম্মে সালমা। এ ছাড়া এফএওর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হাবিপ্রবিতে ভেটেরিনারি অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হলো। অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মাঝে সুপ্ত প্রতিভাগুলো বিকশিত করতে পারবে। বাংলাদেশে ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল ডিসিপ্লিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিসিপ্লিন। দেশে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েটরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশ এখন ডিম-মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে নিজেদেরকে একজন যোগ্য গ্রাজুয়েট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
অলিম্পিয়াডে প্রথম পর্বে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। অনলাইনে গুগল ফর্মের মাধ্যমে ১ ঘণ্টায় ৪০টি এমসিকিউর ৮০ নম্বরের পরীক্ষা। দ্বিতীয় পর্ব ছিল ‘কিউ কার্ড’ পরীক্ষা। এখানে ৫ মিনিট সময়ের ব্যবধানে পাঁচটি করে কার্ড দেওয়া হয় প্রতিটি টিমকে। কার্ডে ক্লিনিক্যাল ডায়াগনসিস প্রশ্ন থাকে এবং সেখানেই উত্তর লিখে জমা দিতে হয়। প্রতিটি সেগমেন্ট পুরো বাংলাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
পিডিএস/এএমকে