বেরোবি প্রতিনিধি :

  ২৭ মার্চ, ২০২৩

বিশেষ দিনে বেরোবির হলে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শহীদ মুখতার ইলাহী হলে বিশেষ দিনে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রবিবার (২৬ মার্চ) বেরোবির তিনটি আবাসিক হলে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে তিন হলের খাবারে ভিন্নতা দেখা যায়। এরমধ্যে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের খাবার সবচেয়ে নিম্নমানের ও অস্বাস্থ্যকর প্লাস্টিকের প্যাকেটে পরিবেশন করা হয়। খাবার পরিবেশনের এই অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

শহীদ মুখতার ইলাহী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, অস্বাস্থ্যকর প্লাস্টিকের প্যাকেটে খাবার পরিবেশন করা হয়। খাবারের প্যাকেট খুললে রোস্ট থেকে পোড়া গন্ধ আর অর্ধসিদ্ধ পোলাও পাওয়া যায়। পবিত্র রমজান মাসে এমন অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন প্রভোস্টের অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয়।

আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, তিন হলের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের খাবার আমাদের হলে। হল প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তান সমতুল্য দাবি করেন, আমার প্রশ্ন প্রভোস্ট কি তার সন্তানকে কখনো এমন নিম্নমানের খাবার খেতে দিয়েছেন?

ক্ষোভ প্রকাশ করে এম ওয়ালিদ হাসান নামের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, মুখতার ইলাহী হলে একজন প্রভোস্টসহ, সাতজন সহকারী প্রভোস্ট। জনাব আপনাদের রুচির প্রশংসা করতে হয়।

সুমন মিয়া নামে আরেক শিক্ষার্থী তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, শহীদ মুখতার ইলাহি হলের খাবার খেয়ে বারবার টয়লেটে যাচ্ছি। জানি না আমার কি হবে। ট্যাবলেট আনতে যেতেও পারতেছি না।

বাকি দুই আবাসিক হলের প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনটি আবাসিক হলেই প্রশাসন থেকে সমপরিমাণ বাজেট দেয়ার কথা, ওই হলে কেনো এমন খাবার পরিবেশন হয়েছে সেটা সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্ট ভালো বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের একাধিক সহকারী প্রভোস্টের সঙ্গে কথা হলে তারা প্রত্যেকে জানান, গত মিটিংয়ে শহরের ঠিকানা রেস্তোরাঁ থেকে খাবার গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু পরে প্রভোস্ট সহকারী প্রভোস্টদের না জানিয়ে এমন নিম্নমানের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন যা দেখে আমরা ব্যথিত ও দুঃখ প্রকাশ করছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট ড. রশীদুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে নিম্নমানের খাবার পরিবেশের দ্বায় স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘বাজেটের মধ্যে রান্না করে আমরা খাবার দেয়ার চেষ্টা করেছি, এতে হয়তো একটু উনিশ-বিশ হয়েছে। আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিলো না।, প্যাকেট প্রতি বাজেট কত ছিলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনকার বাজারে সব কিছুর দাম বেশি, মুরগির কেজি ৪৫০ টাকা, দেড়শ টাকার নিচে কোনো প্যাকেট হয় না আসলে।’

সহকারী প্রভোস্টদের মতামতকে উপেক্ষা করে একাই সিদ্ধান্ত নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রভোস্ট বলেন, ‘মিটিংয়ে সবাই উপস্থিত থাকেন না, যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মতামতে করা হয়েছে।’

পিডিএস/এএমকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নিম্নমানের খাবার,বেরোবি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close