দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
অনাহারে থাকা পাঁচ সন্তানের জননীকে সহায়তা করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার

পটুয়াখালীর দুমকিতে পাঁচ সন্তানের মা হয়েও একমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পরে সেই অসহায় রাশিদা বেগমকে দেখতে গিয়ে সহায়তা করেন দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহীন মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টায় দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কলবাড়ি বাজারের উত্তর দিকে রাস্তার পাশে অরক্ষিত দরজা, জানালা বিহীন ঘরে বসবাস রত প্যারালাইসিসে আক্রান্ত পাঁচ সন্তানের মা অসুস্থ রাশিদা বেগমকে দেখতে জান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ সময় তিনি নগদ অর্থ, কম্বল ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেন।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীন মাহমুদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় প্যারালাইসিস হয়ে পড়ে আছেন এই মহিলা, তার পাঁচটি সন্তান থাকলেও তার কেউ খোঁজ খবর নিচ্ছে না, তার স্বামী তালাক দিয়ে অন্যথায় চলে গেছেন। এমন সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে আমি দেখতে পেয়ে তার বসত ঘরে এসে খাদ্য সামগ্রী, নগদ অর্থ ও শীতবস্ত্র দিয়েছি এবং তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করব একই সাথে তাকে সরকারিভাবে সহায়তা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
উল্লেখ্য, পাঁচটি সন্তান থাকা সত্ত্বেও কেউ খোঁজ খবর নিচ্ছিল না রাশিদা বেগমের এবং সৌদি প্রবাসী স্বামী ফারুক হাওলাদার বেশ কয়েক বছর পূর্বে রাশিদা বেগমকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছেন। রাশিদা বেগম দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত অবস্থায় একাকীত্ব দিনযাপন করছিল। প্রতিবেশীরা খাবার দিয়ে গেলে খেত না দিলে না খেয়ে থাকতো অসুস্থ রাশিদা বেগম।