গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে প্রবাসীকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবী

মালয়েশিয়া প্রবাসী গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তিলশুনিয়া গ্রামের এনামুল হক ইমামুল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবী করেছেন তার স্বজনরা।
পাশাপাশি স্বজনদের অভিযোগ হত্যাকাণ্ডের ২০দিন অতিবাহিত হলেও আসামী গ্রেপ্তাার না হওয়ায় তারা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং এনামুলের পরিবারকে নানা হুমকী দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর প্রেসক্লাবে পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বজনরা এসব অভিযোগ করে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহতের বড় বোন মোছা. পারভীন বলেন, এনামুল হক প্রায় ১৭ বছর ধরে প্রবাসে চাকুরী করেছে। গত ৬ মাস পূর্বে মালয়েশিয়া থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে। গত ১৩ জানুয়ারী সকালে তার (পারভীন) স্বামীর একই উপজেলার ধলিসুতায় বাড়ী যায় এনামুল। কিছু টাকা নিয়ে দুপুরের দিকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে চাঁদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ১৫/২০ লোক দৌড়াদৌড়ি করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখে এনামুল এগিয়ে যায়। ইতোমধ্যে ওই লোকজন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলে আসলে এনামুল তার মোবাইল দিয়ে সে দৃশ্য ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করে। এ সময় ওই লোকজন তার উপর হামলা করে মারাত্মকভাবে আহত করে এবং মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু ১৫ জানুয়ারী দুপুরে তার নাক-মূখ দিযে রক্ত বের হতে থাকলে এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে পুনরায় ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পথে অবস্থার আরো অবনতি হলে উত্তরার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা এনামুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারভীন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাইকে বিনা কারণে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। তার ৬ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় মামলা করা হলেও এখনো পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাদেরকে নানা ভয়ভীতি ও হুমকী দিচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মোছা. পারভীন ছাড়াও নিহতের স্ত্রী নাজমিন ইসলাম বৃষ্টি, তার বোন নাছিমা আক্তারসহ পরিবারের সদস্য ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।