আবু হাসাদ, পুঠিয়া (রাজশাহী)

  ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

পুঠিয়ায় সম্ভাবনাময় রঙিন ফুলকপি চাষ

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের‌ ভরতমারিয়া গ্রামের রঙিন ফুলকপি চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন নরশেদ আলী (৩৭) নামে স্থানীয় এক কৃষক। বেগুনি রঙের এই ফুলকপি দেখতে খুবই সুন্দর।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, পুঠিয়া উপজেলায় সব রকম কপি মিলে চাষ হয়েছে ৫৫ হেক্টর। এর মধ্যে এক কৃষক ইউটিউব দেখে রঙিন ফুলকপির বীজ সংগ্রহ করে ১২ কাঠা মাটিতে বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ শুরু পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে তিনি রঙিন কপির চাষ শুরু করেন। এতে করে ভালো ফলন ও মূল্য বেশি পাওয়ায় খুবই আনন্দিত কৃষক নরশেদ আলী। এছাড়াও অন্যান্য কৃষকরা এই কপি চাষে আগ্রহী হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

নরশেদ আলী জানান, এতদিন আমি বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে এসেছি। কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী অল্প কিছু জায়গায় এই রঙিন ফুলকপি চাষ করেছিলাম। ফলনও হয়েছে ভালো। মূল্যও ভালো পাচ্ছি। উৎপাদন খরচও কম। তবে রঙিন কপি হওয়ায় বাজারে সাদা রঙের কপির থেকে আমার বেগুনী ফুলকপির দাম কিছুটা বেশি। এছাড়াও প্রথম দেখে আমি এই কপি বাজারে বেচতে নিয়ে গেল পরবর্তীতে বিভিন্ন পাইকারি বিক্রেতারা আমার জমি থেকে এসে সংগ্রহ করে নিচ্ছে সেজন্য আমার কপি বিক্রি নিয়ে কোন রকম ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রঙিন এই কপির পুষ্টিগুণ ও গুণগত মান সাদা কপির চেয়ে বেশি। অনেক দিন আগে থেকেই বিশ্বের অন্যান্য দেশে এ ধরনের রঙিন কপির চাষ করা হয়। আমাদের উপজেলায় এই প্রথম রঙ্গিন ফুলকপির চাষ হয়েছে। এমন নতুন নতুন সবজি চাষে কৃষকরা এগিয়ে আসলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশে সকল সবজি রপ্তানি করা যাবে।

আমাদের এই এলাকায় প্রথমবারের জন্য এমন কপি চাষ হবার জন্য প্রতিদিন অনেক কৃষক আমার জমিতে এসে বেগুনী রঙের কপির ছবি ক্যামেরাবন্দি করছে। তবে আমি অল্প কিছু হলুদ বর্ণের কপির ও চাষ শুরু করেছি পরীক্ষামূলক।

স্থানীয় কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, এই প্রথম নরশেদ আলী জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ দেখেছি। দেখতে খুব সুন্দর। বাজারে দামও বেশ ভালো। আগামী সিজনে আমি এই রঙিন ফুলকপি চাষ করবো। আশা করি, কৃষি অফিস আমাকে সহযোগিতা করবে। এছাড়াও আমরা মত অনেক কৃষক রঙিন কপি চাষে আগ্রহ।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পুঠিয়া,রাজশাহী,রঙিন ফুলকপি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close