নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) প্রতিনিধি

  ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

নেছারাবাদে পরকীয়ার জেরে আত্মহত্যা, গ্রেপ্তার ২

ছবি : সংগৃহীত

স্বরূপকাঠির নেছারাবাদে বিষ্ণু কাঠি গ্রামের মিম আক্তার নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় প্রেমিক নুরুল আমিন ও তার মা রিজিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করেছে নেছারাবাদ থানা পুলিশ। মৃত মীম আক্তার বিষ্ণু কাঠি গ্রামের মৃত মো: মাসুম মিয়ার মেয়ে বলে জানা যায়।

অপরদিকে মো. নুরুল আমিন দঃ সোহাগদল গ্রামের হানিফ হাওলাদারের ছেলে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, এক সন্তানের জননী মিম আক্তারের সাথে অবৈধ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে দ: সোহাগদলের রোমিও খ্যাত লম্পট বহু বিবাহকারী নুরুল আমিন। বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে মীম আক্তারের পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স করান নুরুল আমিন। ডিভোর্স করানোর পরে মীম আক্তারকে বিবাহ করার ক্ষেত্রে নানান তালবাহানা করতে থাকে অভিযুক্ত নুরুল আমিন। মৃত মীম আক্তারের মা নারগীস জানান গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আমার মেয়ে মিম আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে নুর আমিনের বাড়িতে যায়। সকাল বেলা লোকমুখে শুনতে পাই আমার মেয়ে মিম ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বর্তমানে সে হাসপাতালে আছে।

হাসপাতালে গিয়ে আমি আমার মেয়েকে মৃত দেখতে পাই। ওই লম্পট নুরুল আমিন আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি ওর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সমিরন জানান বিষয়টি প্রেম ঘটিত খবর পেয়ে আমরা মৃত মিম আক্তারের লাশ পোস্টমর্টেম করিয়ে তার অভিভাবকের হাতে হস্তান্তর করেছি।

এ ঘটনায় মিম আক্তারের মা নার্গিস বেগম ২ জানুয়ারি রাতে বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় ৩০৬/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০২। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত নুরুল আমিনের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় মো. মনির এবং খোদেজা বেগম জানান, ১ জানুয়ারি মৃত মিম আক্তার নিযুক্ত নুর আমিনের বাড়িতে আসলে তাদের সাথে অনেক ঝগড়া হয় এক পর্যায়ে মিম বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে কিছুক্ষণ পরে নুরুল আমিনের ঘরের কাছেই রহমান মাস্টারের আমরা বাগানে আমড়া গাছের ডালের সাথে মিমকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পাই। নুরুল আমিনের ডাক চিৎকারে আমরা দুজনসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে গলায় লাগানো ফাস খুলে উদ্ধার করে নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই। মিম আক্তারকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বনি আমিন বলেন আমি এবং সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। আসামী নুরুল আমিন ও তার মা আসামী রিজিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম এর রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
স্বরূপকাঠির নেছারাবাদ,গৃহবধূর আত্মহত্যা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close