সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিহত
লেবু শেখের লাশ উত্তোলন, নজরুলের পরিবারের বাধা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় গুলিতে নিহত দুই শহীদের লাশ ৬ মাস পর উত্তোলন করতে প্রশাসন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা এলেও একজনের লাশ উত্তোলন করতে দেয়নি স্বজনরা। রবিবার সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন রায়গঞ্জ উপজেলার বারইভাগ গ্রামের মোজাম্মেল শেখের ছেলে পোশাককর্মী নজরুল ইসলাম (২৮) ও একই উপজেলার ডুমরাই গ্রামের জোরতুল্লা শেখের ছেলে শ্রমিক লেবু শেখ (৫৫)। এদের মধ্যে লেবু শেখের লাশ উত্তোলন করা হলেও নজরুল ইসলামের লাশ উত্তোলন করতে দেয়নি স্বজনরা।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লেবু শেখ গুলিতে নিহত হন। নিহতের স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরের দিন ভোরে নিজ গ্রাম ডুমরাই কবরস্থানে দাফন করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে আন্দোলনবিরোধী ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ থেকে ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ অবস্থায় আদালতের নির্দেশে করবস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। এ সময় সিরাজগঞ্জের নির্বাহী ফজলে রাব্বীসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২০ জুলাই গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে পোশাককর্মী নজরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনরা নিজ গ্রামে এনে বারইভাগ কবরস্থানে দাফন করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। আদালতের নির্দেশে নিহতের লাশ উত্তোলনে এলে স্বজন ও স্থানীয়রা বাধা দেওয়ায় মরদেহ উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। এ সময় সিরাজগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজনসহ প্রশাসনের অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পিডিএস/এমএইউ