বেনাপোল প্রতিনিধি

  ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

মাটিবোঝাই ট্রাক্টর যেতে বাধা দেওয়ায় ৩ জনকে পিটিয়ে জখম

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

যশোরের শার্শায় বাড়ির সামনে দিয়ে মাটি বোঝাই ট্রাক্টর যেতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষে ৩ জনকে পিটিয়ে জখম করেছে দূর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শার্শা উপজেলার জামতলার টেংরা গ্রামে।

আহতরা হলেন টেংরা গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে মোতালেব হোসেন (৩৫), একই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে রানা হোসেন (২৮) ও হযরত আলীর ছেলে ইস্রাফিল হোসেন (৩৪)। আহত মোতালেব ও রানাকে তাদের স্বজনেরা উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এর মধ্যে মোতালেব হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে শার্শা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় জামতলা বাজারে ও টেংরা গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে আবারো সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জামতলা বাজার ব্যবসায়ী ও টেংরা গ্রামের সাধারণ মানুষ।

এ ব্যাপারে আহত মোতালেব হোসেনের বড় ভাই আব্দুল খালেক লাল্টু বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, অভিযুক্ত আসামিরা জামতলা টেংরা গ্রামের মোজাম বিশ্বাসের নিকট থেকে গজালির বিলে ২০ বিঘা জমির ঘের কাটানোর শর্তে মাটি ক্রয় করে। আসামিরা রবিবার সকাল থেকে ট্রাক্টর নিয়ে ওই জমির মাটি কাটতে যায়। দুপুরের দিকে আহত মোতালেবসহ প্রায় শতাধিক গ্রামবাসী তাদের বাড়ির সামনে রাস্তা দিয়ে মাটিবাহী ট্রাক্টর যেতে বাধা দেয়। এই ঘটনায় রাগে উত্তেজিত হয়ে আসামিরা জামতলা বাজারে এসে অবস্থান নেয়। এর কিছু সময় পর মোতালেব মোটর সাইকেল যোগে জামতলা বাজারে আসলে অভিযুক্ত আসামিদের উপস্থিতিতে ইস্রাফিল ও সুমন প্রতিবাদকারী মোতালেবের মোটর সাইকেল থামিয়ে তাকে বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম ও আহত করে। এ সময ঠেকাতে গেলে মোতালেবের সাথে থাকা রানাকেও বেদম ভাবে পেটায় দূর্বৃত্তরা।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, জামতলার ঘটনা শুনে তখনই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় ৭ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
যশোর,শার্শা,মামলা,আসামি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close