
পাঁচ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১

পাঁচ জেলায় আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়ায় ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ২ জন, রংপুরে বাসচাপায় মাহিন্দ্রার ৩ যাত্রী ও আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, ময়মনসিংহে দুইজন, বগুড়ায় একজন এবং টাঙ্গাইলে একজন নিহত হয়েছেন।
রংপুর: ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের চায়নার মোড় এলাকায় সকালে ৯টার দিকে ঢাকা-কুড়িগ্রামগামী পাভেল এক্সপ্রেস একটি মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিন যাত্রী নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও দুই যাত্রী। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া রংপুরে আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন আরও ২ জন।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুর ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তারা সবাই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের রানাখরিয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েকজন যাত্রীসহ সিএনজি অটোরিকশাটি কুষ্টিয়া থেকে ভেড়ামারা অভিমুখে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের রানাখরিয়া নামক স্থানে বিপরিত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী পাথর বোঝায় ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তানিয়া খাতুন নামে সিএনজি যাত্রী ও সিএনজি চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
বগুড়া: ঘন কুয়াশায় বগুড়ায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন দুইজন। শুক্রবার সকালে নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা বাসস্ট্যান্ডে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মনোয়ারুজ্জামান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, খুলনা থেকে মাছবাহী একটি ট্রাক বগুড়ার দিকে যাচ্ছিল। অপর দিকে বালুবাহী একটি ট্রাক নাটোরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘন কুয়াশার কারণে রনবাঘা বাসস্ট্যান্ডে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাছবাহী ট্রাকের হেলপার নিহত হয়। এসময় গুরুতর আহত দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, ময়মনসিংহ সদরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ জন এবং টাঙ্গাইলে নিহত হয়েছেন একজন।
পিডিএস/এমএইউ