বাকৃবি প্রতিনিধি
বাকৃবিতে তিন উপাচার্য ও প্রাণিসম্পদের মহাপরিচালককে সংবর্ধনা প্রদান

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের আয়োজনে তিনটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত হাপরিচালককে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপে¬ক্সে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন।
এ সময় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানকে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে ভূমিকা রাখার জন্য সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনাপ্রাপ্ত সকলেই বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের প্রাক্তন কৃতি শিক্ষার্থী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, সত্যবাদিতা, দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে উপাচার্যের দায়িত্ব কঠিন কিছু নয়। দেশের সকল ভেটেরিনারিয়ানদের লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের মানুষের সেবা করা। বিশেষ করে দেশের কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করা উচিত। এই লক্ষ্য পূরণে কোয়ালিটি গ্রাজুয়েট তৈরির বিকল্প নেই। তাই কোয়ালিটি গ্রাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে জাতির সেবায় উপাচার্যদের এগিয়ে আসা উচিত।
আজকের এই নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বরা তাদের কর্মজীবনে যে উচ্চতায় পৌঁছেছেন তা আমাদের শিক্ষার মান, গবেষণার উৎকর্ষ এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনের সক্ষমতারই প্রতিফলন। তাদের অবদান কেবলমাত্র শিক্ষার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়, তারা দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের নীতি নির্ধারণ এবং বাস্তবায়নে অসামান্য ভূমিকা রাখছেন এবং ভবিষ্যতেও রাখবেন বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি বলে জানান অধ্যাপক বাহানুর।