ইকবাল কবির লেমন, সোনাতলা (বগুড়া)
অগ্নিনির্বাপণে স্বল্পব্যয়ে পরিবেশবান্ধব নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন

অগ্নিনির্বাপণে স্বল্প ব্যয়ের পরিবেশবান্ধব নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করলো বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মুজতাহিদুল ইসলাম। নতুন উদ্ভাবিত এ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় খুব স্বল্প খরচে পানির বিকল্প হিসেবে সহজলভ্য কেমিকেল কম খরচে সাধারণ মানুষ ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করতে পারবে এবং সাধারণ স্প্রে মেশিনে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে। তাঁর উদ্ভাবিত স্বল্প খরচে তৈরি করা তরল স্প্রে করে আগুনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী দেয়াল নির্মাণ করা সম্ভব। নিরাপদ সেই দেয়ালের কারণে দ্রুতই ঘটনার শিকার স্থাপনার ভিতরে ঢুকে নিরাপদে জানমাল উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে যে কেউ। তাঁর তৈরি করা কেমিকেল অত্যন্ত নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব।
১৩ জানুয়ারি রাতে সোনাতলার সরকারি নাজির আখতার কলেজ মাঠে উদ্ভাবনটি তুলে ধরার জন্য একটি অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার আয়োজন করেন মুজতাহিদুল ইসলাম। মহড়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকগণ বিষয়টির (অগ্নি প্রতিরোধ দেয়াল) সত্যতা পেয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বগুড়া জেলা কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার আব্দুল জলিল ও সোনাতলা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আব্দুর রঊফ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করে জানিয়েছেন, ‘মুজতাহিদের উদ্ভাবিত অগ্নিনির্বাপণ পদ্ধতিটি প্রাথমিকভাবে সঠিক মনে হয়েছে। যদি তাঁর এ বিষয়টি আরও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় শতভাগ সঠিক বিবেচিত হয় তবে তা বাংলাদেশের জন্য বিরাট সম্মান বয়ে আনবে।’
এ বিষয়ে তরুণ উদ্ভাবক মুজতাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই নানা উদ্ভাবনী কাজে যুক্ত। কয়েকবছর আগে ঢাকার চুড়িহট্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমি সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করেছি। তখন থেকেই আমি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। স্বল্পখরচে উদ্ভাবিত আমার এই তরল কেমিকেলটি আগুন নির্বাপণে বিশেষত, আগুনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী নিরাপদ দেয়াল নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভয়াবহ দাবানলের বিরুদ্ধেও এই কেমিকেল শতভাগ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। যদি সরকার এটিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমতি দেয় তাহলে সকলেই অল্প অর্থে নিরাপদে পরিবেশবান্ধব এই কেমিকেল বাড়িতে রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণ করতে পারবে।
পিডিএস/এমএইউ