যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা। এ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা চরাঞ্চল। আর এ চরাঞ্চলে এবার রবি মৌসুমে চিনা বাদাম ও মাসকালাইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে বাজার দাম ভালো থাকার আশায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৪৭৫ হেক্টর মাসকালাই ও ৯০৫ হেক্টর বাদামের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকেরা এ লক্ষ্যমাত্রা ছেড়েও লাভজনক এ দুটি ফসলের চাষাবাদ করেছে।

স্থানীয় কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ওই উপজেলার চরাঞ্চলে বাদাম ও মাসকালাই চাষাবাদ করে। মাসকালাই ও বাদাম চাষাবাদে খরচ কম ও লাভ বেশি হয়ে থাকে। মাস কলাই ভাদ্র মাসে বুনে অগ্রহায়ণ মাসে কাটা ও মাড়াই করা হয়। এতে বিঘা প্রতি প্রায় ৫ মণ ফলন উৎপাদন হয় এবং বাদাম কার্তিক মাসে রোপণ করে ফাল্গুন মাসে উত্তোলন করা হয়। বাদাম বিঘা প্রতি প্রায় ১২ মণ উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে এ চরাঞ্চলের বিশেষ করে নাটোয়ারপাড়া, তেকানি, খাসরাজবাড়ি, ও নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার চরাঞ্চলে এবার মাসকালাই ও বাদাম ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা এখন খুশি। এ চাষাবাদে কৃষকেদর পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। লাভজনক হওয়ায় চাষাবাদ আগামীতে আরো বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার বলেন, মাসকালাই ও বাদাম চাষাবাদ চরাঞ্চলে ভালো হয়। এছাড়া যমুনা তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এ দুটি ফসলের চাষাবাদ হয়েছে এবং বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পিডিএস/এমএইউ