ইমাম হোসেন হিমেল, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
কলাপাড়ায় পুকুরে দেখা মিললো ইলিশের
উপকূলীয় এলাকায় ইলিশের দেখা খুবই স্বাভাবিক বিষয় কোটি কোটি টাকার ইনকাম হয় এখানে ইলিশ থেকে। কিন্তু সেই ইলিশ যদি বন্ধ পুকুরে দেখা মেলে তাহলে বিষয়টি অদ্ভুত। এই অঞ্চলে সচরাচর ইলিশের দেখা সাগরে ঘের অথবা স্রোত বিহীন পুকুর ঘেরে ইলিশ বাঁচতে পারে এমন ধারণাই ছিলো না এলাকাবাসীর।
এবারে জীবিত ইলিশের দেখা মিলেছে কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের খাপড়াভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক খানের পুকুরে। ইলিশটি দেখতে সকাল থেকেই ভীর করছেন এলাকার উৎসুক জনতা। ৭২ শতাংশ জমিতে বানিজ্যিক ভাবে তেলাপিয়া রুই কাতলসহ একাধিক মাছ চাষ করেন এই চাষি, হঠাৎ ইলিশ মাছ পেয়ে অবাক এই মৎস্য চাষী তিনি ধারণা করছেন জোয়ার ভাঁটার পানিতে রেনু এসেই বড় হয়েছে।
তিনি মাছ ধরার জন্য বের জাল দিয়ে টান দিলে দুটি মাছ উঠলে একটি রেখে দেন, তিনি ধারণা করছেন সাত আট পিচ মাছ আছে পুকুরে ২৫০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এই মাছ গুলো ।
স্থানীয় বাসিন্দা রহমান খান জানান, আমিও গত বছর একটা পেয়েছি আমার পুকুরে এবছর দেখলাম এখানে বেশ কয়েকটি ইলিশ পেয়েছেন বিষয়টি খুবই অদ্ভুত লাগছে আমার কাছে। স্রোত বিহীন পানিতে কি করে ইলিশ বাঁচতে পারে এটা এখন আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে স্বাদু পানিতে ইলিশ মাছ কম বাড়লেও একটা সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তবে বাণিজ্যিকভাবে এটি লাভজনক নয়। এ ছাড়া স্বাদু পানিতে ইলিশের স্বাদ ও গন্ধ ঠিক থাকে না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে একটি পুকুরে ২ টি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় এই পুকুরে ইলিশ মাছ এসেছে।