নোয়াখালী প্রতিনিধি

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য চালককে হত্যা

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পরিত্যক্ত বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে রবিন হোসেন নামে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো.রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের জগৎপুর গ্রামের আব্দুরব উকিলের বাড়ীর রিকশা চালক ইউনুসের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। সে তার মা রুনা আক্তারের সাথে পালক বাবার একই বাড়িতে বসবাস করত। নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় তার অটোরিকশা ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। তার মা রুনা ৫ নভেম্বর নিখোঁজ ডায়রী করে। পুলিশের ট্রাকিং নাম্বার মোতাবেক এবং পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েল (২৬) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন লোককে স্থানীয়রা তার সাথে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। এ বিষয়ে জুয়েলকে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এলামেলো কথাবার্তা বলেন। পরে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিখোঁজের ৬ দিন পর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাথরুমের সেপটি ট্যাংকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পেয়ে সেটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এর পর পরই অভিযুক্তর মোবাইলের সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা হয়।

ওসি কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আজ সকালে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকির সামনে গিয়ে একটি কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকের স্ল্যাবের মুখ খুললে রবিনের মরদেহ দেখতে পায়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নোয়াখালী,সেপটি ট্যাংকি,মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close